ডিপার্টমেন্ট অব জেনারেল এন্ড মিনিমাল এক্সেস গ্যাস্ট্রোইন্টেসটিনাল, মেটাবলিক এন্ড ব্যারিয়াট্রিক সার্জারী
ওয়েট লস সার্জারী / Bariatric Surgery
আপনি জানেন কি
ওবেসিটি বা স্থূলতা কি?
ওবেসিটি বা স্থূলতা একধরণের জটিল মেডিকেল অবস্থা যেখানে শরীর অতিরিক্ত মাত্রায় মেদ সঞ্চয় করে এবং এর ফলে সামগ্রিক শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং নানা ধরণের রোগাক্রমণ সহ গড় আয়ু কমে যায় এমনকি অকাল মৃত্যুও হতে পারে।
স্থুলতা বা ওবেসিটিকে সাধারণত বডি মাস ইনডেক্স (BMI) দ্বারা বোঝানো হয়ে থাকে।
বিএমআই নিমোক্ত পদ্ধতিতে গণনা করা হয় :
উদাহরন এক রোগীর ওজন ৯৩ কেজি
উচ্চতা ৫ ফিট (১.৫২৪ মিটার)
তার BMI ক্যালকুলেশন নিম্নে দেয়া হল
BMI অনুযায়ী ওবেস/স্থুল রোগীদের
নিম্নোক্ত শ্রেনীতে বিন্যাস করা হয়
QUERY FORM
কি কারণে স্থুলতা হয়ে থাকে
জেনেটিক্স : জেনেটিক্স বা জিনগত কারণে শরীরে হরমোনের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায় এবং শরীরে মেদের সঞ্চার ঘটে। পিতা মাতার কারো ওবেসিটি বা স্থুলতা থাকলে সন্তানেরও স্থুলতা দেখা দিতে পারে।
ক্যালরিক ব্যালেন্সে ঘাটতি : কেউ যদি তার প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খাবার খান তাহলে তার শরীরে ক্যালরিক ব্যালেন্সে অসামঞ্জস্যতা হয় এবং তার শরীরে ধীরে ধীরে মেদ সঞ্চয় করতে থাকে।
অকর্মক্ষম জীবনযাত্রা : যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সাধারণত অবসর সময় টিভি বা কম্পিউটার কেন্দ্রিক হয়ে যাওয়ায় এ ধরণের স্থুলতা জনিত জটিলতা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।
পরিবেশ : সহজলভ্য এবং অতিমাত্রায় ক্যালরি সমৃদ্ধ অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারনে এই ওবেসিটি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ওষুধ : স্বাভাবিকভাবে কিছু কিছু ব্যতিক্রমধর্মী ওষুধের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কারণে শরীরে মেদের আধিক্য দেখা দিতে পারে। যেমনঃ এ্যান্টি ডিপ্রেসেন্ট, এ্যান্টি কনভালসেন্ট, ডায়াবেটিস জনিত ওষুধ, স্টেরয়েডের মত হরমোন ওষুধ, উচ্চ রক্তচাপ জনিত ওষুধ এবং এ্যান্টিহিস্টামিন।
মনস্তাত্বিক ব্যাপার : কিছু কিছু মনস্তাত্বিক ব্যাপার যেমন স্ট্রেস, রাগ, ক্রোধ, দুঃখ ইত্যাদিও স্থুলতা তৈরী করতে পারে কেননা এ সময়গুলোতে মানুষ খাওয়া দাওয়া বেশী করে থাকে।
রোগ ব্যাধি : হাইপোথাইরয়ডিজম, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম, কুশিং সিন্ড্রোম ওবেসিটি তৈরী করতে পারে।
কি কি চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রচলিত আছে
ওবেসিটির চিকিৎসায় বেশ কিছু প্রচলিত পদ্ধতি রয়েছে। যেমন :
খাদ্য নিয়ন্ত্রণ এবং শারীরিক পরিশ্রম : BMI যদি ২৭.৫ এর বেশী হয় তাহলে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ এবং এবং শারীরিক পরিশ্রমই হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম। নিয়ম মাফিক চলাফেরায় BMI স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসে।
ওয়েট লস মেডিকেশন : BMI ২৭.৫ এবং সাথে কিছু স্বাস্থ্য হানিকারক ব্যধি যেমনঃ ডায়াবেটিস অথবা কোন স্বাস্থ্য হানিকারক ব্যধি ছাড়াই BMI ৩২.৫ এর অধিক হলে খাদ্য নিয়ন্ত্রন, ব্যায়াম এবং মেডিকেশনের সাহায্যে ওবেসিটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে এক্ষেত্রে নিবিড় পর্যবেক্ষণ অত্যাবশকীয় একটি বিষয়।
সার্জারী : BMI ৩২.৫ এবং সাথে কিছু স্বাস্থ্য হানিকারক ব্যধি অথবা কোন স্বাস্থ্য হানিকারক ব্যধি ছাড়াই BMI ৩৭.৫ এর হলে ওয়েট লস (ব্যারিয়াট্রিক) সার্জারী সর্বোত্তম চিকিৎসা পদ্ধতি।
যে সকল রোগীদের BMI ৩২.৫ কেজি/মি২ , তারা ওয়েট লস সার্জারীর আওতায় না পড়লে তাদের ওজন নিয়ন্ত্রনের জন্য অভিজ্ঞ ফিজিশিয়ান, নিউট্রিশনিস্ট ও সাইকোলজিস্টদের পরামর্শ অনুযায়ী একটি পূর্নাংগ ওয়েট ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতি অনুযায়ী চলতে বলা হয়।