এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে আপনাকে স্বাগতম
আত্মহত্যা রোধে সচেতনতাই মূল চাবিকাঠি

আত্মহত্যা - এটি হলো একজন হতাশ, নিঃসঙ্গ ও ভগ্নহৃদয় মানুষের শেষ পথবিশেষ, যা তারা জীবনের সমস্যার সমাধান হিসেবে বেছে নেয়। কিন্তু আত্মহত্যা কি সত্যিই কোনো সমাধান? দৈহিকভাবে হয়তো worldly pain থেকে মুক্তি মিলতে পারে, কিন্তু আত্মার কি মুক্তি মেলে?
বিশ্ব ও বাংলাদেশের পরিসংখ্যান:
বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে ১ জন আত্মহত্যা করেন
গত বছর বাংলাদেশে ১৪,৪৩৬ জন আত্মহত্যা করেছেন
এ সংখ্যা করোনার প্রথম বছরের মৃত্যুর চেয়ে ৭০% বেশি
৩০ বছর বয়সের নিচের মানুষদের মধ্যে আত্মহত্যার হার বেশি
পুরুষরা নারীদের তুলনায় বেশি ঝুঁকিতে থাকেন
আত্মহত্যার প্রধান কারণগুলো:
ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা
মানসিক চাপ ও সম্পর্কজনিত সমস্যা
পারিবারিক কলহ
মাদকাসক্তি
আর্থিক সংকট
একাকিত্ব ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতা
সম্মান হারানোর ভয়
আত্মহত্যার পূর্ব লক্ষণ:
নিজেকে ঘৃণা করা ও দোষারোপ করা
নিজেকে অন্যদের বোঝা মনে করা
অস্থিরতা ও সহজে রেগে যাওয়া
বন্ধুবান্ধব ও পরিবার থেকে দূরে সরে যাওয়া
অনলাইনে আত্মহত্যার পদ্ধতি খোঁজা
সরাসরি বা অপ্রত্যক্ষভাবে আত্মহত্যার ইচ্ছা প্রকাশ
আত্মহত্যা রোধে আমাদের করণীয়:
পরিবার ও বন্ধুদের ভূমিকা:
প্রিয়জনদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করুন
তাদের বোঝান যে আত্মহত্যা সমস্যার সমাধান নয়
হতাশ ব্যক্তির কথা মন দিয়ে শুনুন
বিপজ্জনক বস্তু তাদের নাগালের বাইরে রাখুন
পেশাদার সাহায্য:
মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
সাইকোলজিস্টের কাউন্সেলিং করান
হেল্পলাইনে যোগাযোগ করতে উৎসাহিত করুন
সামাজিক সচেতনতা:
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনা
সামাজিক মূল্যবোধ ও পারস্পরিক সমঝোতা
জীবনকে অর্থবহ ও উপভোগ্য করে তোলা
মনে রাখবেন:
আপনার একটু ভালোবাসা, একটু খোঁজখবর, একটু সময় দিলে হয়তো কাউনের জীবন বাঁচাতে পারেন। আত্মহত্যা প্রতিরোধে শিক্ষা, আলোচনা এবং সর্বোপরি সচেতনতা - এই তিনটি বিষয়ই সমান গুরুত্বপূর্ণ।
