এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে আপনাকে স্বাগতম
ব্রেস্ট ক্যান্সার: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ

ব্রেস্ট ক্যান্সার হলো একটি জটিল রোগ যেখানে স্তনের কোষ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পায়। বিশ্বজুড়ে নারীদের মধ্যে এটি সবচেয়ে সাধারণ ক্যান্সার। বাংলাদেশে প্রতিবছর ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকির কারণ:
নিয়ন্ত্রণযোগ্য কারণ:
অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান
শারীরিক পরিশ্রম না করা
ওজন বেশি হওয়া (বিশেষত মেনোপজের পর)
দীর্ঘদিন হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নেওয়া
৩০ বছর বয়সের পর প্রথম সন্তান জন্ম দেওয়া
সন্তানকে বুকের দুধ না খাওয়ানো
অনিয়ন্ত্রণযোগ্য কারণ:
মহিলা ও বয়স ৫০ বছরের বেশি
জিনগত সমস্যা (BRCA1, BRCA2 জিন)
৯ বছর বয়সের আগে মাসিক শুরু
৫৫ বছর বয়সের পর মেনোপজ
ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ:
স্তনে বা বগলে নতুন চাকা দেখা দেওয়া
স্তনের চামড়ায় চুলকানি, ফোলা বা গর্ত
স্তনের আকার বা আকৃতিতে পরিবর্তন
বোঁটা থেকে রক্ত বা অন্য তরল বের হওয়া
বোঁটার চামড়া লাল বা খসখসে হওয়া
ব্রেস্ট ক্যান্সার স্ক্রিনিং:
বাংলাদেশের নারীদের জন্য সুপারিশ:
৪৫-৭৪ বছর বয়সী নারীদের ২ বছর পরপর ম্যামোগ্রাম পরীক্ষা
উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা নারীদের আগেই স্ক্রিনিং শুরু করা
ব্রেস্ট ক্যান্সার নির্ণয়:
ব্রেস্ট আল্ট্রাসনোগ্রাফি
ডায়াগনস্টিক ম্যামোগ্রাম
ব্রেস্ট এমআরআই (প্রয়োজনে)
বায়োপসি (কোর নিডিল বায়োপসি/ওপেন বায়োপসি)
এফএনএসি (ছোট চাকার জন্য)
ইমিউনোহিস্টোকেমিস্ট্রি (আইএইচসি) টেস্ট:
এই টেস্টের মাধ্যমে ক্যান্সারের ধরন জানা যায়:
ইআর স্ট্যাটাস
পিআর স্ট্যাটাস
HER2 স্ট্যাটাস
Ki67 স্ট্যাটাস
ব্রেস্ট ক্যান্সারের চিকিৎসা:
সার্জারি
কেমোথেরাপি
রেডিওথেরাপি
হরমোন থেরাপি
টার্গেটেড থেরাপি
ইমিউনোথেরাপি
ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়:
স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা
নিয়মিত ব্যায়াম করা
অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা
সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানো
হরমোন থেরাপি সীমিত করা
মনে রাখবেন:
প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পূর্ণভাবে নিরাময় সম্ভব। নিয়মিত স্ব-পরীক্ষা এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
