
ডা. মোহাম্মদ এরশাদুল হক
এমবিবিএস, এম ফিল (প্যাথলজি)
সিনিয়র কনসালটেন্ট
দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা
•ডাঃ মোহাম্মদ এরশাদুল হক একজন প্রখ্যাত হিস্টোপ্যাথলজি বিশেষজ্ঞ যিনি ডায়াগনস্টিক প্যাথলজি ক্ষেত্রে ব্যাপক দক্ষতা সম্পন্ন। তিনি ১৯৮২ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং ১৯৮৭ সালে ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ (আইপিজিএমআর), ঢাকা থেকে প্যাথলজিতে এম.ফিল ডিগ্রি অর্জন করেন, যা তাঁর বিশিষ্ট কর্মজীবনের জন্য একাডেমিক ভিত্তি রচনা করে।
•চার দশকেরও বেশি পেশাদার অভিজ্ঞতা নিয়ে ডাঃ হক ১৯৯৭ সালের জুন থেকে সৌদি আরবের তায়েফের কিং ফয়সাল হাসপাতালে হিস্টোপ্যাথলজি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত আছেন, যেখানে তিনি বিশেষায়িত ডায়াগনস্টিক সেবা প্রদান করে চলেছেন। এই আন্তর্জাতিক পদে যোগদানের পূর্বে, তিনি বাংলাদেশে চিকিৎসা শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন - ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে (১৯৯৩-১৯৯৭) এবং রংপুর মেডিকেল কলেজে (১৯৮৯-১৯৯৩) সহকারী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর কর্মজীবনের শুরুর দিকে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে লেকচারার (১৯৮৮-১৯৮৯) এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার (১৯৮২-১৯৮৮) হিসেবে কাজ করেছেন, যা তাঁর ক্লিনিক্যাল চর্চা ও জনস্বাস্থ্যের প্রতি অঙ্গীকারকে নির্দেশ করে।
•ডাঃ হক ডায়াগনস্টিক হিস্টোপ্যাথলজিতে অসাধারণ দক্ষতা অর্জন করেছেন, বিশেষত কোলোরেক্টাল ও ব্রেস্ট ক্যান্সার, লিম্ফ নোড ডিজঅর্ডার এবং চর্মরোগের টিস্যু বিশ্লেষণে। তাঁর দক্ষতা হিস্টোপ্যাথলজিকাল ফলাফলের ক্লিনিক্যাল স্টাডি এবং এন্ডোস্কোপিক বায়োপ্সি বিশ্লেষণ পর্যন্ত বিস্তৃত, পাশাপাশি ইমিউনোফ্লোরোসেন্স টেকনিক ও ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি গবেষণায় বিশেষ অবদান রেখেছেন।
•একজন সফল গবেষক হিসেবে ডাঃ হক স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে নয়টিরও বেশি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গবেষণার মধ্যে রয়েছে চর্মরোগে ইমিউনোফ্লোরোসেন্স প্যাটার্ন, ব্রেস্ট লেশন্স ও ইএনটি ডিজঅর্ডারের হিস্টোমরফোলজিক্যাল বিশ্লেষণ এবং ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথিতে মাইক্রোঅ্যালবুমিনুরিয়ার ভূমিকা নিয়ে গবেষণা। তাঁর ক্লিনিক্যাল কাজের পাশাপাশি, ডাঃ হক মেডিকেল ছাত্র ও প্রশিক্ষণার্থীদের মেন্টরিংয়ের মাধ্যমে একাডেমিক প্যাথলজিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন, যেখানে তিনি প্যাথলজিক্যাল সায়েন্সের জ্ঞান নতুন প্রজন্মের চিকিৎসকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।