হোম
প্রফেসর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম কাওনাইন

প্রফেসর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম কাওনাইন

এমবিবিএস, এফসিপিএস (মেডিসিন), এফসিপিএস (নিউরোলজি)

সিনিয়র কনসালটেন্ট

ডিপার্টমেন্ট :নিউরোলজি

দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা

•প্রফেসর ডাঃ গোলাম কাওনাইন একজন বিশিষ্ট নিউরোলজিস্ট ও একাডেমিক নেতা, যিনি স্ট্রোক ব্যবস্থাপনা, নিউরোসনোলজি এবং স্নায়ুবিজ্ঞান গবেষণায় তার বিশেষজ্ঞতার জন্য সুপরিচিত। তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস থেকে মেডিসিনে এফসিপিএস ও নিউরোলজিতে এফসিপিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল থেকে স্ট্রোক ও নিউরোসনোলজিতে ক্লিনিক্যাল ফেলোশিপ সম্পন্ন করেন।

•বর্তমানে ডাঃ কাওনাইন চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) ও আর্মি মেডিকেল কলেজে নিউরোলজি বিভাগের প্রধান, স্ট্রোক প্রোগ্রামের পরিচালক এবং মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি তীব্র স্ট্রোক ব্যবস্থাপনার তত্ত¡াবধান করেন, নিউরোসনোলজি ল্যাব পরিচালনা করেন এবং নিউরোলজি রেসিডেন্টদের প্রশিক্ষণ দেন। এর আগে তিনি সিএমএইচ ঢাকা-তে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন, যেখানে তিনি স্ট্রোক কেয়ার প্রটোকল প্রবর্তন করেন। তিনি সিঙ্গাপুরে এখঙজওঅ-অঋ গ্লোবাল রেজিস্ট্রি এবং ক্লট বাস্টার ফেজ-৩ ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করেন।

•একজন একজন দক্ষ গবেষক হিসেবে প্রফেসর কাওনাইন ঈঁৎবঁং ও ঊীঢ়বৎঃ জবারবি ড়ভ ঘবঁৎড়ঃযবৎধঢ়বঁঃরপং-এর মতো উচ্চপ্রভাবসম্পন্ন জার্নালে ১৮টিরও বেশি পিয়ার-রিভিউড গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। ইস্কেমিক স্ট্রোকের জন্য লো-ডোজ বনাম স্ট্যান্ডার্ড-ডোজ টিস্যু প্লাজমিনোজেন অ্যাক্টিভেটর (ঃচঅ), রিভার্সিবল সেরিব্রাল ভ্যাসোকনস্ট্রিকশন সিনড্রোম এবং ক্যারোটিড প্লাক ডাইনামিক্স সংক্রান্ত তার যুগান্তকারী গবেষণা বারফবহপব-নধংবফ নিউরোলজি চর্চাকে রূপ দিয়েছে। এছাড়া মোয়ামোয়া রোগ এবং প্রিসেন্ট্রাল জাইরাস ইনফার্ক্টের কারণে সৃষ্ট সোয়ালোয়িং অ্যাপ্রাক্সিয়ার মতো বিরল কেস ডকুমেন্টেশন জটিল স্নায়ুবিক রোগবিষয়ক জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করেছে।

•চিকিৎসা কার্যক্রমের বাইরেও ডাঃ কাওনাইন একাডেমিক ক্ষেত্রেও বিশেষভাবে দক্ষ। তিনি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং  ট্রান্সক্র্যানিয়াল ডপলারসহ উন্নত নিউরোইমেজিং প্রযুক্তিকে রুটিন চিকিৎসায় সংযুক্ত করেছেন। তাঁর প্রক্রিয়াগত দক্ষতার মধ্যে রয়েছে লাম্বর পাংচার, এক্সট্রাক্র্যানিয়াল ডুপ্লেক্স স্টাডি, নিউরোফিজিওলজিক্যাল মূল্যায়ন এবং  ট্রান্সক্র্যানিয়াল ডপলার স্টাডি। লাইবেরিয়ায় মানবিক মিশন এবং বাংলাদেশে সংকটকালে তাঁর নেতৃত্ব সমতাভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবার প্রতি তাঁর অঙ্গীকারকে আরও স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।

•সংকট ব্যবস্থাপনা ও আন্তঃশাস্ত্রীয় সহযোগিতায় তার দক্ষতার জন্য স্বীকৃত প্রফেসর কাওনাইন ক্লিনিক্যাল উদ্ভাবন ও একাডেমিক কঠোরতাকে একত্রিত করে বাংলাদেশের নিউরোলজি সম্প্রদায়ের একটি মৌলিক স্তম্ভ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তার কাজ স্ট্রোক ইন্টারভেনশন, নিউরোসনোলজি এবং নিউরোডিজেনারেটিভ গবেষণাকে এগিয়ে নিচ্ছে, যা তাকে একজন ক্লিনিশিয়ান, শিক্ষাবিদ ও স্নায়ুবিজ্ঞানের অগ্রদূত হিসেবে তার উত্তরাধিকারকে সুসংহত করছে।