এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে আপনাকে স্বাগতম
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে পালিত হলো ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস

এভারকেয়ার
হসপিটাল চট্টগ্রামে পালিত হলো ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস
[চট্টগ্রাম, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫]- বন্দরনগরীর সর্ববৃহৎ হাসপাতাল
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম সম্প্রতি ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস
উপলক্ষে একটি পেশেন্ট ফোরাম ও সচেতনতামূলক র্যালির
আয়োজন করেছে। নারীদের প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্তকরণ, চিকিৎসা ও সার্বিক
স্তনস্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধিই ছিলো এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে মেডিক্যাল
ও রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগ থেকে উপস্থিত ছিলেন ভিজিটিং সিনিয়র
কনসালট্যান্ট প্রফেসর ডা. সাজ্জাদ
মোহাম্মদ ইউসুফ, কনসালট্যান্ট ও কো-অর্ডিনেটর (রেডিওথেরাপি সার্ভিস) ডা. তানভির আহমেদ; কনসালট্যান্ট ডা. হাসনিনা আক্তার এবং এ্যাটেন্ডিং কনসালটেন্ট ডা. নয়ন ভৌমিক । এছাড়া আরও উপস্থিত
ছিলেন সানশাইন এডুকেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও
চেয়ারম্যান মিসেস
শাফিয়া গাজী, এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রামের
চিফ অপারেটিং অফিসার
সামীর সিং সহ হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট, নার্স, রোগী ও
স্টাফ।
স্বাগত বক্তব্যে এভারকেয়ার
হসপিটাল চট্টগ্রামের চিফ অপারেটিং অফিসার সামীর সিং বলেন, “এ ধরনের
ফোরাম ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা সবাইকে ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে ভালোভাবে
জানাতে চাই, যাতে রোগটি প্রাথমিক পর্যায়েই শনাক্ত করা যায় এবং রোগী ও তাদের পরিবারের
পাশে থাকা যায়।”
সানশাইন এডুকেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও
চেয়ারম্যান, মিসেস শাফিয়া গাজী, কমিউনিটির
ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “যখন আমরা সবাই মিলে শিক্ষা,
সহায়তা ও অনুপ্রেরণার মাধ্যমে একে অপরকে শক্তিশালী করে তুলি, তখন নারীরা নিজের
স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হন, যা তাদের জীবন বাঁচাতে পারে।”
মেডিক্যাল
ও রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের ভিজিটিং সিনিয়র কনসালট্যান্ট, প্রফেসর
ডা. সাজ্জাদ মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, “আধুনিক রোগ নির্ণয়
প্রযুক্তি ও পার্সোনালাইজড কেয়ার-এর সমন্বয়ে আমরা রোগীর চিকিৎসার ফলাফল অনেক উন্নত
করতে পারি এবং তাদের একটি সুস্থ ভবিষ্যৎ দিতে পারি।”
মেডিক্যাল ও রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের কনসালট্যান্ট ও
কো-অর্ডিনেটর (রেডিওথেরাপি সার্ভিস), ডা. তানভির
আহমেদ বলেন, “চিকিৎসার
সর্বশেষ অগ্রগতির বিষয়ে অবহিত থাকলে প্রতিটি রোগীর জন্য তার প্রয়োজন
অনুযায়ী সঠিক যত্ন নিশ্চিত করা যায়।”
মেডিক্যাল
ও রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের কনসালট্যান্ট,
ডা. হাসনিনা আক্তার বলেন, “চিকিৎসা
শুধু শারীরিক বিষয় নয়, মানসিকভাবে সহায়তাও রোগীর সুস্থতার পথে বড় ভূমিকা রাখে।”
পেশেন্ট ফোরামে পেশেন্ট
স্টোরি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ব্রেস্ট ক্যান্সার জয়ী নারীরা
তাদের সাহস ও লড়াইয়ের গল্প শেয়ার করেন, যা উপস্থিত সবাইকে অনুপ্রাণিত করে। এরপর
ছিলো প্রশ্নোত্তর পর্ব,
যেখানে অংশগ্রহণকারীরা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে ব্রেস্ট হেলথ ও চিকিৎসা
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন।
অনুষ্ঠানের সমাপনী
বক্তব্যে শেসে অনুষ্ঠিত হয় ব্রেস্ট ক্যান্সার
সচেতনতামূলক র্যালি, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা গোলাপি গ্যাস বেলুন,
কবুতর, ব্যানার, পিংক রিবন ও ক্যাপ নিয়ে হাসপাতালের প্রাঙ্গণে একটি রঙিন ও
প্রাণবন্ত শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
