কানের পর্দার পিছনে বা মধ্যকর্ণে পানি জমা
(ওটাইটিস মিডিয়া উইথ ইফিউশন) ও মাইরিংগোটমি সার্জারি
বাচ্চাদের মধ্যে কানের
পর্দার পিছনে পানি জমা হওয়া
একটি সাধারণ সমস্যা, যা
অ্যাডিনয়েড, অ্যালার্জি
বা বারবার ইনফেকশনের কারণে হতে পারে। এটি শ্রবণশক্তি ও বাকশক্তি বাধাগ্রস্ত করতে
পারে। মাইরিংগোটমি সার্জারির মাধ্যমে
কানের পর্দায় ছোট একটি ছিদ্র করে পানি বের করা হয় এবং কিছু ক্ষেত্রে গ্রোমেট
(ভেন্টিলেশন টিউব) স্থাপন
করা হয়।
কান দিয়ে পানি পড়া, কানের পর্দা ছিদ্র হওয়া, কানের
মাইক্রো সার্জারি
ইনফেকশন,
আঘাত বা কানের ভিতরে বাতাসের চাপের কারণে কানের পর্দা ফুটো হতে পারে, যার ফলে
শ্রবণশক্তি কমে যায় ও কান দিয়ে পানি ও পুঁজ পড়ে। মাইরিংগোপ্লাস্টি বা
টিমপ্যানোপ্লাস্টি সার্জারির
মাধ্যমে মাইক্রোস্কোপিক পদ্ধতিতে কানের পর্দা মেরামত করা হয়।
বার বার কান দিয়ে পানি পড়া, ম্যাসটয়েডাইটিস
ও ম্যাসটয়েডেক্টমি সার্জারি
দীর্ঘদিনের কানের ইনফেকশন কানের পিছনে ছড়িয়ে পড়তে
পারে, যা
মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। ম্যাসটয়েডেক্টমি অপারেশনে
ইনফেকশনযুক্ত হাড়ের অংশ অপসারণ করা হয়। এবং কান রোগমুক্ত হয়।
কানের হাড় ক্ষয় ও অসিকুলোপ্লাস্টি
কানের ভিতরের ম্যালিয়াস, ইনকাস ও
স্টেপিস ৩ টি খুব ছোট হাড়
ক্ষয় হলে শ্রবণশক্তি কমে যায়। অসিকুলোপ্লাস্টি সার্জারিতে
এই হাড়গুলো মেরামত বা প্রতিস্থাপন করা হয়।
কানের নালি সংকীর্ণ ও ক্যানালপ্লাস্টিঃ
জন্মগত বা ইনফেকশনের কারণে কানের নালি
সংকীর্ণ হলে
শ্রবণশক্তি কমে যায়। ক্যানালপ্লাস্টি সার্জারিতে
নালি প্রশস্ত করা হয়।
অটস্কেলেরোসিস ও স্টেপেডেক্টমি
এই সমস্যায় কানের বিশেষ একটি হাড় শক্ত হয়ে যায়, বিশেষত কম বয়সী
মহিলাদের বেশি
হয়। স্টেপেডেক্টমি সার্জারি বা
হিয়ারিং এইড ব্যবহার করে চিকিৎসা করা হয়।
সম্পূর্ণ বধিরতা ও কক্লিয়ার
ইমপ্ল্যান্ট
জন্মগত বা পরবর্তীতে শ্রবণশক্তি প্রায় সম্পূর্ণভাবে
হারালে কক্লিয়ার
ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি
করা হয়, যা
সরাসরি শ্রবণ স্নায়ুকে উদ্দীপিত করে। এভারকেয়ার
হাসপাতালে ইতিমধ্যে দুইটি
সফল কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি
করা হয়েছে।