এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকায় আপনাকে স্বাগতম
ডায়াবেটিস সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার র্যালি আয়োজন

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা, আজ একটি সচেতনতামূলক র্যালির আয়োজন করেছে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে প্রাথমিক শনাক্তকরণ এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করাই ছিল আয়োজনের মূল লক্ষ্য। চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত র্যালিতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ও তা নিরসনে স্বাস্থ্যকর জীবনধারার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
এবারের এবারের প্রতিপাদ্য ‘কর্ম ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস’-কে কেন্দ্র করে আয়োজিত র্যালিতে শিক্ষামূলক কার্যক্রম, পোস্টার প্রদর্শনী, ডায়াবেটোলজি ও এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞদের ইন্টার্যাক্টিভ কাউন্সিলিং সেশন অন্তর্ভুক্ত ছিল।
সেসময় উপস্থিত ছিলেন এভারকেয়ার হসপিটালস, বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও ডা. রত্নদ্বীপ চাস্কার; এভারকেয়ার হসপিটালস, বাংলাদেশের গ্রুপ মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ; এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা’র ডায়াবেটোলজি ও এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের কো-অর্ডিনেটর ও সিনিয়র কনসাল্টেন্ট প্রফেসর ডা. আব্দুল মান্নান সরকার; সিনিয়র কনসাল্টেন্ট ডা. আহসানুল হক আমিন; সিনিয়র কনসাল্টেন্ট ডা. নাজমুল ইসলাম এবং পেডিয়াট্রিক্স ও নিওনেটোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসাল্টেন্ট ডা. ফাহ্মিদা জাবীন প্রমুখ।
এ প্রসঙ্গে ডা. রত্নদ্বীপ চাস্কার বলেন, “এ র্যালির সফলতা প্রমাণ করে যে, মানুষ এখন ডায়াবেটিস সম্পর্কে আরও সচেতন এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে আগ্রহ বাড়াচ্ছে। আমরা ভবিষ্যতেও এমন সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম আয়োজন অব্যাহত রাখবো।”
ডা. আরিফ মাহমুদ বলেন, “এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা সবসময় প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা ও জনগণকে স্বাস্থ্যগত শিক্ষা প্রদানের চেষ্টা করে। এ ধরনের কমিউনিটি-ভিত্তিক আয়োজন আমাদের ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের মোকাবেলায় মানুষকে সহায়তা করার দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতিকে আরও দৃঢ় করে।”
প্রফেসর ডা. আব্দুল মান্নান সরকার বলেন, “নিয়মিত স্ক্রিনিংই ডায়াবেটিস প্রতিরোধের প্রথম ধাপ। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে জীবনযাত্রা পরিবর্তন ও ওষুধের মাধ্যমে রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং কিডনি রোগ, হৃদরোগ ও স্নায়ুজনিত জটিলতা প্রতিরোধ করাও সম্ভব।”
ডা. আহসানুল হক আমিন বলেন, “কেবল রোগীর জন্য নয়, বরং পরিবার ও সমাজের সবার জন্যই ডায়াবেটিস নিয়ে সচেতন হওয়া জরুরি। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।”
ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, “ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া। নিয়মিত চিকিৎসা পরামর্শের পাশাপাশি রোগীদের ওজন নিয়ন্ত্রণ, চিনি খাওয়া বর্জন বা সীমিত করা, রক্তে গ্লুকোজের পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন থাকা ইত্যাদি বিষয়ে বাড়তি নজর দেওয়া উচিৎ।
ডা. ফাহ্মিদা জাবীন বলেন, “বাড়ছে শিশুদের ডায়াবেটিস, অনেকাংশেই দায়ী পরিবর্তিত জীবনযাপন ও অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস। নবজাতক সহ শিশু কিশোর সব বয়সেই ডায়াবেটিস হতে পারে । তাই বয়স ভেদে এর লক্ষণ গুলো দেখা দিলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং অন্যান্যদের সচেতন করুন ।”
