Evercarebd
Publications
20 March 2025

পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ (PKD): একটি জিনগত কিডনি রোগ

পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ (PKD): একটি জিনগত কিডনি রোগ

পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ (PKD) হলো একটি জিনগত কিডনি রোগ, যেখানে কিডনিতে অনেকগুলো সিস্ট (ফোসকার মত) তৈরি হয়। সময়ের সঙ্গে এগুলো বড় হতে থাকে এবং কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এই রোগ ক্রনিক কিডনি ডিজিজ (CKD) এবং কিডনি ফেইলিওরের অন্যতম প্রধান কারণ হতে পারে।

PKD-এর কারণ

PKD সাধারণত জেনেটিক (বংশগত) কারণে হয়ে থাকে। এটি দুই ধরনের হতে পারে:
অটোসোমাল ডমিনেন্ট PKD (ADPKD) – এটি সবচেয়ে সাধারণ এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
অটোসোমাল রিসেসিভ PKD (ARPKD) – এটি শিশুদের মধ্যে বিরল হলেও মারাত্মক হতে পারে।

প্রধান লক্ষণ

  • কোন লক্ষণ নাও থাকতে পারে
  • উচ্চ রক্তচাপ – বিশেষ করে অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপ
  • পেট ও পাশের অংশে ব্যথা বা ভারী অনুভব করা
  • প্রস্রাবে রক্ত আসা
  • বারবার ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI) / প্রস্রাবে ইনফেকশন হ‌ওয়া

প্রতিরোধ চিকিৎসা

  • Early সনাক্ত করা গেলে ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করা
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা – উচ্চ রক্তচাপ কিডনির ক্ষতি বাড়ায়।
  • পর্যাপ্ত পানি পান করা – কিডনির কার্যকারিতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
  • সুস্থ খাদ্যাভ্যাস – লবণ, প্রোটিন ও চর্বি কমিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া দরকার।
  • ধূমপান অ্যালকোহল পরিহার – এগুলো কিডনির ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ায়।
  • নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া – কিডনির কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করা জরুরি।
  • PKD এর জন্য কিডনি ফেইল করলে কিডনি প্রতিস্থাপন হবে সর্বোত্তম চিকিৎসা।

PKD-এর কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, তবে সঠিক জীবনযাপন চিকিৎসার মাধ্যমে এর জটিলতা কমানো সম্ভবপ্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করা গেলে কিডনি ফেইলিওর প্রতিরোধ করা যায়।

পরিবারে বা বংশের অন্যান্যদের পরীক্ষা করিয়ে নেয়া প্রয়োজন PKD তাদের ও আছে কিনা।

 

লেখকঃ

ডা. তাবাসসুম সামাদ

কনসালটেন্ট

নেফ্রোলজি (কিডনি) বিভাগ

এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা।