Welcome to Evercare Hospital Chattogram.
ক্যান্সারের কারণ: জীবনযাত্রা, পরিবেশ ও বংশগতি

ক্যান্সার, এমন একটি রোগ যা আজকের সময়ে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু কেন হয় ক্যান্সার? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন কারণ চিহ্নিত করেছেন। এই আর্টিকেলে আমরা ক্যান্সারের কিছু প্রধান কারণ, যেমন জীবনযাত্রার কারণ, পরিবেশগত কারণ এবং বংশগত কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
জীবনযাত্রার কারণ
আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার কিছু অভ্যাস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
- ধূমপান: ধূমপান ফুসফুস, মুখ, গলা এবং অন্যান্য অঙ্গের ক্যান্সারের প্রধান কারণ। ধূমপানে থাকা বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ শরীরের কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ঘটায়।
- মদ্যপান: অতিরিক্ত মদ্যপান যকৃতের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়াও মদ্যপান অন্যান্য ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়াতে পারে।
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত, লবণাক্ত খাবার এবং কম ফল ও শাকসবজি খাওয়া ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত খাবার, রেড মিট এবং শুকনো ফলের অতিরিক্ত সেবন ক্ষতিকর।
- শারীরিক অক্রিয়তা: নিয়মিত ব্যায়াম না করলে ওজন বাড়তে পারে এবং এটি অনেক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
পরিবেশগত কারণ
আমাদের চারপাশের পরিবেশও ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
- দূষণ: বায়ু, জল এবং মাটি দূষণ ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষ করে শিল্প কলকারখানার দূষণ, যানবাহনের ধোঁয়া এবং কীটনাশকের অপব্যবহার ক্যান্সারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
- রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসা: কিছু রাসায়নিক পদার্থ, যেমন এসবেস্টস, বেনজিন, এবং অ্যাজবেস্টস, ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
বংশগত কারণ
কখনো কখনো ক্যান্সার পরিবারে চলে আসে। জিনগত ত্রুটির কারণে কিছু মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। তবে সব ক্যান্সারই বংশগত হয় না।
উপসংহার
ক্যান্সার একটি জটিল রোগ এবং এর কারণগুলিও জটিল। জীবনযাত্রা, পরিবেশ এবং বংশগতি এই তিনটি প্রধান কারণ ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তবে ভাল খবর হল, আমরা অনেক কারণকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। সুস্থ জীবনযাত্রা, পরিবেশ সচেতনতা এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
ক্যান্সার প্রতিরোধে কিছু উপায়:
- ধূমপান এবং মদ্যপান পরিহার করা
- সুষম খাদ্য গ্রহণ করা
- নিয়মিত ব্যায়াম করা
- স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা
- সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে আসা কমানো
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো
মনে রাখবেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্ত করা হলে চিকিৎসা সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।