Evercarebd
Welcome to Evercare Hospital Chattogram.
12 December 2024
পায়ের গোড়ালির ব্যথা: কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা

পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা যা অনেক মানুষের জীবনকে বিঘ্নিত করে। এটি হাঁটাচলা, দৌড়ানো বা দাঁড়ানোকে কঠিন করে তুলতে পারে এবং দৈনন্দিন কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
গোড়ালির ব্যথার কারণ
গোড়ালির ব্যথার অনেকগুলি কারণ থাকতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
- আঘাত: গোড়ালি মচকে যাওয়া, ফ্র্যাকচার বা স্প্রেইন হওয়া।
- অতিরিক্ত ব্যবহার: দীর্ঘদিন দাঁড়িয়ে থাকা, দৌড়ানো বা অন্যান্য শারীরিক কার্যকলাপের ফলে গোড়ালিতে ব্যথা হতে পারে।
- আর্থ্রাইটিস: অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ফলে গোড়ালির জয়েন্টে প্রদাহ হতে পারে এবং ব্যথা হতে পারে।
- গাউট: ইউরিক এসিডের ক্রিস্টাল জমা হওয়ার ফলে গোড়ালিতে ব্যথা এবং ফোলা হতে পারে।
- প্লান্টার ফ্যাসাইটিস: পায়ের পাতার নিচের অংশে থাকা একটি শক্ত টিস্যু, প্লান্টার ফ্যাসিয়া, যখন প্রদাহিত হয় তখন গোড়ালির পিছনে ব্যথা হয়।
- তরল থলির প্রদাহ (বার্সাইটিস): গোড়ালির জয়েন্টের চারপাশে থাকা তরল থলি প্রদাহিত হলে ব্যথা হয়।
- স্নায়ুর সমস্যা: গোড়ালির স্নায়ুতে চাপ পড়লে বা আঘাত লাগলে ব্যথা হতে পারে।
- জুতা: অস্বস্তিকর বা খুব টাইট জুতা পরার ফলে গোড়ালিতে ব্যথা হতে পারে।
- পায়ের গঠন: ফ্ল্যাট ফুট বা উঁচু চাপের ফলে গোড়ালিতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং ব্যথা হতে পারে।
গোড়ালির ব্যথার লক্ষণ
- গোড়ালিতে ব্যথা, যা হাঁটাচলা, দাঁড়ানো বা ওজন বহন করার সময় বাড়তে পারে।
- ফোলা
- লাল হয়ে যাওয়া
- তাপ
- গোড়ালি নড়াচড়া করতে সমস্যা
- হাঁটতে অসুবিধা
গোড়ালির ব্যথার চিকিৎসা
গোড়ালির ব্যথার চিকিৎসা এর কারণের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, চিকিৎসা হিসেবে নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়:
- বিশ্রাম: গোড়ালিকে বিশ্রাম দেওয়া।
- বরফ: ফোলা কমাতে বরফের প্যাক ব্যবহার করা।
- সংকোচন: ফোলা কমাতে গোড়ালির চারপাশে ইলাস্টিক ব্যান্ড বাড়া।
- উঁচুতে রাখা: গোড়ালিকে উঁচুতে রাখা।
- ওষুধ: ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধ ব্যবহার করা।
- ফিজিওথেরাপি: শক্তি বাড়ানো এবং গতিশীলতা উন্নত করার জন্য ফিজিওথেরাপি করা।
- অর্থোটিকস: পায়ের গঠন সংশোধন করতে অর্থোটিকস ব্যবহার করা।
- সার্জারি: ক্ষেত্রবিশেষে সার্জারি প্রয়োজন হতে পারে।
গোড়ালির ব্যথা প্রতিরোধ
- সঠিক জুতা: স্বাস্থ্যকর এবং আরামদায়ক জুতা পরুন।
- ওয়ার্ম আপ: যে কোনো শারীরিক কার্যকলাপ শুরু করার আগে ভালো করে ওয়ার্ম আপ করুন।
- শক্তিশালীকরণ ব্যায়াম: গোড়ালির পেশীগুলিকে শক্তিশালী করার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন গোড়ালিতে চাপ বাড়াতে পারে।
- সঠিক পদক্ষেপ: হাঁটার সময় সঠিক পদক্ষেপ রাখুন।
মনে রাখবেন: যদি আপনার গোড়ালির ব্যথা দীর্ঘদিন ধরে থাকে বা বাড়তে থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন অস্থিচিকিৎসকের পরামর্শ নিন।