Welcome to Evercare Hospital Chattogram.
মমি মেকওভার: টামি টাক ও ব্রেস্ট লিফ্ট

মাতৃত্ব একজন নারীর জীবনে একটি অনন্য অভিজ্ঞতা, কিন্তু গর্ভাবস্থা ও সন্তান প্রসবের পর অনেক নারীই শারীরিক পরিবর্তনের কারণে আত্মবিশ্বাস হারান। মমি মেকওভার বা ম্যাটারনিটি মেকওভার হলো এমন একটি প্লাস্টিক সার্জারি প্যাকেজ, যা গর্ভাবস্থা ও প্রসব পরবর্তী শারীরিক পরিবর্তনগুলি ঠিক করতে সাহায্য করে। এই প্যাকেজে সাধারণত টামি টাক (পেটের চামড়া টাইট করা) এবং ব্রেস্ট লিফ্ট (স্তন উঁচু করা) অন্তর্ভুক্ত থাকে।
মমি মেকওভার কী?
মমি মেকওভার হলো একাধিক প্লাস্টিক সার্জারির সমন্বয়, যা গর্ভাবস্থা ও প্রসব পরবর্তী শারীরিক পরিবর্তনগুলি ঠিক করে। এর মধ্যে প্রধান দুটি পদ্ধতি হলো:
১ . টামি টাক (অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি): পেটের অতিরিক্ত চামড়া ও ফ্যাট সরিয়ে পেট টাইট ও সমতল করা।
২ . ব্রেস্ট লিফ্ট (মাস্টোপেক্সি): স্তনকে উঁচু করে আকৃতি ও সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা।
টামি টাক (অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি)
গর্ভাবস্থায় পেটের চামড়া ও পেশী প্রসারিত হয়, যা প্রসবের পর ঢিলে হয়ে যায়। টামি টাক পদ্ধতিতে:
- পেটের অতিরিক্ত চামড়া ও ফ্যাট সরানো হয়।
- পেটের পেশী টাইট করা হয়।
- পেটের আকৃতি সমতল ও টোনড করা হয়।
সুবিধা:
- পেটের চামড়া ও ফ্যাট কমে যায়।
- শরীরের আকৃতি ফিরে পায়।
- আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
ব্রেস্ট লিফ্ট (মাস্টোপেক্সি)
স্তন্যদান ও গর্ভাবস্থার কারণে স্তন ঢিলে হয়ে যায় এবং আকৃতি হারায়। ব্রেস্ট লিফ্ট পদ্ধতিতে:
- স্তনের অতিরিক্ত চামড়া সরানো হয়।
- ঝুলে যাওয়া স্তনকে উঁচু করে আকৃতি ফিরিয়ে আনা হয়।
- নিপলের অবস্থান ঠিক করা হয়।
সুবিধা:
- স্তনের আকৃতি ও সৌন্দর্য ফিরে পায়।
- স্তন উঁচু ও টোনড হয়।
- আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।
কে মমি মেকওভারের জন্য উপযুক্ত?
- যারা গর্ভাবস্থা ও প্রসব পরবর্তী শারীরিক পরিবর্তন নিয়ে অসন্তুষ্ট।
- যারা স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রেখেছেন।
- যারা আর সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন না।
সার্জারির পর যত্ন
- নিয়মিত বিশ্রাম ও হালকা ব্যায়াম।
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ও ড্রেসিং পরিবর্তন।
- ভারী কাজ এড়িয়ে চলা।
কখন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন?
- গর্ভাবস্থা ও প্রসব পরবর্তী শারীরিক পরিবর্তন নিয়ে অসন্তুষ্ট হলে।
- টামি টাক বা ব্রেস্ট লিফ্ট নিয়ে আলোচনা করতে।
মমি মেকওভার নারীদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনে এবং তাদের শারীরিক সৌন্দর্য পুনরুদ্ধার করে। এটি শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, বরং মানসিক সুস্থতাও নিশ্চিত করে।