Evercarebd
15 December 2024

শ্বাসকষ্ট: কারণ ও ব্যবস্থাপনা

শ্বাসকষ্ট: কারণ ও ব্যবস্থাপনা
Author

Dr. Rivu Raj Chakraborty

Author

শ্বাসকষ্ট অর্থাৎ শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এটি একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।

শ্বাসকষ্টের সাধারণ কারণ

  • অ্যাস্থমা: এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যাতে শ্বাসনালী সরু হয়ে যায় এবং শ্বাসকষ্ট হয়।
  • COPD (Chronic Obstructive Pulmonary Disease): এটি ফুসফুসের একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যাতে শ্বাসনালী এবং ফুসফুসের বাতাসের থলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
  • প্লুরাল এফিউশন: ফুসফুসের চারপাশে তরল জমে যাওয়া।
  • নিউমোনিয়া: ফুসফুসের সংক্রমণ।
  • হৃদরোগ: হৃদযন্ত্রের সমস্যাও শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।
  • অ্যালার্জি: ধুলো, পরাগ, খাবার ইত্যাদির প্রতি অ্যালার্জি শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।
  • অ্যান্সাইটি এবং প্যানিক অ্যাটাক: মানসিক চাপের কারণেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

শ্বাসকষ্টের লক্ষণ

  • শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
  • বুকে চাপ অনুভব করা
  • হাঁপানি
  • কাশি
  • বুকে ব্যথা
  • দ্রুত শ্বাস
  • ঘামা
  • চোখ ঘোলা হয়ে যাওয়া

শ্বাসকষ্টের ব্যবস্থাপনা

শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা কারণের উপর নির্ভর করে। ডাক্তার রোগীর চিকিৎসা ইতিহাস, লক্ষণ এবং শারীরিক পরীক্ষার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করবেন এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন।

  • অ্যাস্থমা: ইনহেলার, ওষুধ এবং অ্যালার্জেন এড়িয়ে চলা।
  • COPD: ওষুধ, অক্সিজেন থেরাপি, পালমোনারি রিহ্যাবিলিটেশন।
  • প্লুরাল এফিউশন: তরল নিষ্কাশন, ওষুধ।
  • নিউমোনিয়া: অ্যান্টিবায়োটিক, অক্সিজেন থেরাপি।
  • হৃদরোগ: হৃদরোগের চিকিৎসা।
  • অ্যালার্জি: অ্যালার্জেন এড়িয়ে চলা, অ্যান্টিহিস্টামিন।
  • অ্যান্সাইটি এবং প্যানিক অ্যাটাক: কাউন্সেলিং, ওষুধ।

কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন

  • যদি শ্বাসকষ্ট হঠাৎ করে শুরু হয় এবং তীব্র হয়।
  • যদি শ্বাসকষ্টের সাথে বুকে ব্যথা, চেতনা হারানো বা শ্বাসকষ্টের কারণে দৈনন্দিন কাজ করতে সমস্যা হয়।
  • যদি শ্বাসকষ্ট দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং অন্যান্য চিকিৎসা করেও ভালো না হয়।

শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ

  • ধূমপান বন্ধ করা।
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস।
  • নিয়মিত ব্যায়াম।
  • হাত পরিষ্কার রাখা।
  • অ্যালার্জেন এড়িয়ে চলা।
  • বার্ষিক ফ্লু শট নেওয়া।

মনে রাখবেন: শ্বাসকষ্ট একটি গুরুতর সমস্যা। যদি আপনি শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।