Evercarebd
Welcome to Evercare Hospital Chattogram.
12 December 2024
সিজার পরবর্তী কোমর ব্যথা: কারণ, প্রতিকার ও যত্ন


Dr. Farzana Haseen (Mukti)
Author
সিজারিয়ান অপারেশনের পর অনেক মায়েরই কোমরে ব্যথা অনুভূত হয়। এই ব্যথা সাধারণত অস্থায়ী হলেও, কিছু ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এই আর্টিকেলটি সিজার পরবর্তী কোমর ব্যথার কারণ, প্রতিকার ও যত্ন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেবে।
সিজার পরবর্তী কোমর ব্যথার কারণ
- অপারেশনের কারণে: অস্ত্রোপচারের সময় কোমরের মাংসপেশি এবং লিগামেন্টগুলোতে টান পড়ে, যার ফলে ব্যথা হয়।
- এপিডুরাল বা স্পাইনাল অ্যানেস্থেসিয়া: অপারেশনের সময় দেওয়া এই অ্যানেস্থেসিয়া কোমরের মাংসপেশি ও স্নায়ুকে প্রভাবিত করতে পারে।
- শারীরিক পরিবর্তন: গর্ভাবস্থায় শরীরের ওজন বৃদ্ধি এবং শারীরিক পরিবর্তনের ফলে কোমরের উপর চাপ পড়ে।
- অতিরিক্ত ওজন বহন: সন্তানের যত্ন নেওয়ার সময় শিশুকে বহন করার ফলে কোমরের ব্যথা বাড়তে পারে।
- পেলভিক ফ্লোরের দুর্বলতা: গর্ভাবস্থা এবং প্রসবের ফলে পেলভিক ফ্লোরের দুর্বলতা দেখা দিতে পারে, যা কোমর ব্যথার একটি কারণ হতে পারে।
সিজার পরবর্তী কোমর ব্যথার লক্ষণ
- কোমরের তীব্র বা হালকা ব্যথা
- কোমরের দুর্বলতা
- পিঠে ব্যথা
- পায়ে ব্যথা
- চলাফেরার সময় সমস্যা
সিজার পরবর্তী কোমর ব্যথার প্রতিকার
- বিশ্রাম: যতটা সম্ভব বিশ্রাম নিন।
- গরম সেঁক: গরম পানির বোতল বা হিটিং প্যাড ব্যবহার করে কোমরে সেঁক দিন।
- ব্যথানাশক ওষুধ: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করুন।
- ফিজিওথেরাপি: একজন ফিজিওথেরাপিস্ট আপনাকে কোমরের মাংসপেশিকে শক্তিশালী করার এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারেন।
- পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ: এই এক্সারসাইজ পেলভিক ফ্লোরের মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
- যোগাসন: কিছু নির্দিষ্ট যোগাসন কোমরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
সিজার পরবর্তী কোমর ব্যথা প্রতিরোধ
- সঠিক ভঙ্গি: দাঁড়ানো, বসা এবং শোয়ার সময় সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখুন।
- হালকা ব্যায়াম: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হালকা ব্যায়াম করুন।
- ওজন কমান: অতিরিক্ত ওজন কোমরের উপর চাপ বাড়ায়, তাই ওজন কমানোর চেষ্টা করুন।
- শিশুকে সঠিকভাবে বহন করুন: শিশুকে বহন করার সময় কোমরের উপর চাপ না পড়ার মতো করে বহন করুন।
- পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার: পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খেয়ে শরীরকে শক্তিশালী করুন।
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন?
- যদি ব্যথা তীব্র হয় এবং দিনে দিনে বাড়তে থাকে।
- যদি ব্যথার সাথে অন্য কোনো লক্ষণ দেখা দেয়।
- যদি ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার পরেও ব্যথা না কমে।
মনে রাখবেন: সিজার পরবর্তী কোমর ব্যথা সাধারণত অস্থায়ী। তবে যদি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা দৈনন্দিন কাজকর্মে বাধা দেয়, তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।