গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসাউন্ড: গর্ভস্থ শিশুর ছবি দেখার পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরীক্ষা

গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসাউন্ড হল একটি নিরাপদ এবং ব্যথাহীন পরীক্ষা যার মাধ্যমে গর্ভস্থ শিশু এবং মায়ের গর্ভাশয়ের ছবি তোলা হয়। এই ছবিগুলো দেখে ডাক্তাররা শিশুর বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য এবং গর্ভাবস্থার অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পান।

কেন গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসাউন্ড করা হয়?

  • শিশুর বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ: আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে শিশুর বৃদ্ধি, ওজন এবং শারীরিক গঠন পর্যবেক্ষণ করা হয়। এটি নিশ্চিত করে যে শিশু স্বাভাবিকভাবে বড় হচ্ছে।
  • গর্ভাবস্থার সময়কাল নির্ধারণ: গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকে আল্ট্রাসাউন্ড করে শিশুর বয়স নির্ণয় করা হয় এবং প্রসবের তারিখ অনুমান করা হয়।
  • জন্মগত ত্রুটি শনাক্ত: আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে শিশুর হৃদয়, মস্তিষ্ক, মেরুদণ্ড এবং অন্যান্য অঙ্গের কোনো জন্মগত ত্রুটি আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়।
  • একাধিক গর্ভধারণ শনাক্ত: যদি একাধিক শিশু গর্ভে থাকে তবে আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে তা সহজেই শনাক্ত করা যায়।
  • প্লাসেন্টা এবং অ্যামনিওটিক তরলের অবস্থা পরীক্ষা: আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে প্লাসেন্টা এবং অ্যামনিওটিক তরলের অবস্থা পরীক্ষা করে কোনো সমস্যা আছে কিনা তা দেখা হয়।
  • প্রসবের জন্য প্রস্তুতি: আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে শিশুর অবস্থান এবং প্রসবের জন্য তৈরি হওয়ার অবস্থা পরীক্ষা করে প্রসবের পরিকল্পনা করা হয়।

গর্ভাবস্থায় কখন আল্ট্রাসাউন্ড করা হয়?

  • প্রথম ত্রৈমাসিক: গর্ভাবস্থার ৮-১৪ সপ্তাহের মধ্যে প্রথম আল্ট্রাসাউন্ড করা হয়। এই আল্ট্রাসাউন্ডে শিশুর হৃদস্পন্দন শোনা যায় এবং গর্ভাবস্থার সময়কাল নির্ধারণ করা হয়।
  • দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক: গর্ভাবস্থার ১৮-২২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় আল্ট্রাসাউন্ড করা হয়। এই আল্ট্রাসাউন্ডে শিশুর শারীরিক গঠন এবং অঙ্গের বিকাশ পরীক্ষা করা হয়।
  • তৃতীয় ত্রৈমাসিক: গর্ভাবস্থার ২৮-৩২ সপ্তাহের মধ্যে তৃতীয় আল্ট্রাসাউন্ড করা হয়। এই আল্ট্রাসাউন্ডে শিশুর ওজন এবং বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করা হয়।

আল্ট্রাসাউন্ড করার পদ্ধতি

আল্ট্রাসাউন্ড করার জন্য একটি যন্ত্র ব্যবহার করা হয় যার মাধ্যমে উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির শব্দ তরঙ্গ দেহের ভিতরে পাঠানো হয়। এই শব্দ তরঙ্গ দেহের অভ্যন্তরের অঙ্গ এবং টিস্যুর ছবি তৈরি করে। আল্ট্রাসাউন্ড করার সময় কোনো ব্যথা হয় না।

আল্ট্রাসাউন্ডের উপকারিতা

  • নিরাপদ: আল্ট্রাসাউন্ড একটি নিরাপদ পরীক্ষা এবং এটি গর্ভস্থ শিশু বা মায়ের জন্য কোনো ক্ষতি করে না।
  • ব্যথাহীন: আল্ট্রাসাউন্ড করার সময় কোনো ব্যথা হয় না।
  • সহজলভ্য: আল্ট্রাসাউন্ড সহজলভ্য এবং খরচও কম।
  • বিস্তারিত তথ্য: আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে গর্ভস্থ শিশু এবং মায়ের গর্ভাশয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়।

গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসাউন্ড করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি গর্ভস্থ শিশু এবং মায়ের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

এভারকেয়ারে ক্যান্সার চিকিৎসার সাফল্যের গল্প: আশার নতুন সূর্য

ক্যান্সার, শুনলেই অনেকের মনে আসে ভয় আর হতাশা। কিন্তু আজ আমরা আপনাদেরকে এমন এক গল্প শোনাবো যা আপনার মনে আশার আলো জ্বালাবে।

[রোগীর নাম] একসময় ক্যান্সারের ভয়াবহতায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু এভারকেয়ার ক্যান্সার সেন্টারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের যত্নে তিনি আজ সুস্থ। তার জীবন যেন নতুন করে শুরু হয়েছে।

[রোগীর নাম] বলেন, “আমি যখন প্রথম জানতে পারি যে আমার ক্যান্সার হয়েছে, তখন আমার পুরো জীবন যেন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু এভারকেয়ারের চিকিৎসকরা আমাকে সব সময় পাশে ছিলেন। তাদের যত্নে আমি আবার সুস্থ হয়ে উঠেছি।”

[চিকিৎসকের নাম] বলেন, “[রোগীর নাম] এর চিকিৎসা আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু আমরা সবাই মিলে কাজ করে তাকে সুস্থ করে তুলতে পেরেছি। এটি আমাদের জন্যও একটি বড় সাফল্য।”

[রোগীর পরিবারের সদস্যের নাম] বলেন, “আমরা এভারকেয়ারের কাছে কৃতজ্ঞ যে তারা আমাদের পরিবারকে এই কঠিন সময়ে পাশে ছিল। তাদের যত্নে আমরা আমাদের প্রিয়জনকে ফিরে পেয়েছি।”

এভারকেয়ার কেন এত বিশেষ?

  • বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল: এখানে ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল কাজ করে। তারা সর্বশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে রোগীদের চিকিৎসা করেন।
  • আধুনিক সুবিধা: এভারকেয়ারে আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং সুবিধা রয়েছে যা রোগীদের চিকিৎসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • মানসিক সহায়তা: রোগীদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়। মনোবিজ্ঞানীরা রোগীদের মানসিক সমস্যা মোকাবিলায় সহায়তা করেন।
  • পরিবারের সহযোগিতা: রোগীর পরিবারকেও চিকিৎসার প্রতিটি পর্যায়ে জড়িত রাখা হয়।
  • সম্পূর্ণ চিকিৎসা: সার্জারি, কিমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি সহ সব ধরনের ক্যান্সার চিকিৎসা এখানে পাওয়া যায়।

আপনিও পেতে পারেন নতুন জীবন

[রোগীর নাম] এর মতো আপনিও ক্যান্সারকে পরাজিত করতে পারেন। এভারকেয়ার ক্যান্সার সেন্টার আপনার পাশে আছে।

 

ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট: জীবন বাঁচানোর যুদ্ধক্ষেত্র

আপনি যখন কোনো হাসপাতালে যান, তখন আপনি হয়তো বিভিন্ন বিভাগ দেখতে পান। এর মধ্যে একটি বিভাগ হল ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)। এই বিভাগটি হাসপাতালের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসা দেওয়া হয়।

 

ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট কী?

ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট হলো হাসপাতালের একটি বিশেষ বিভাগ যেখানে জীবন-মৃত্যুর সীমানায় থাকা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। এই ইউনিটে বিশেষ ধরনের যন্ত্রপাতি ও ওষুধের মাধ্যমে রোগীদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়।

 

কাদের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়?

যেসব রোগীর শারীরিক অবস্থা খুবই গুরুতর, তাদেরকে ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়। এর মধ্যে রয়েছে:

  • হৃদরোগে আক্রান্ত রোগী: হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিউর ইত্যাদি।
  • স্ট্রোকের রোগী: মস্তিষ্কের রক্তনালী ফেটে গেলে বা বন্ধ হয়ে গেলে।
  • শ্বাসকষ্টের রোগী: ফুসফুসের সংক্রমণ, অ্যাস্থমা ইত্যাদি।
  • কিডনি ফেইলিউরের রোগী: কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দিলে।
  • গুরুতর আঘাতের শিকার রোগী: সড়ক দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া ইত্যাদি।
  • অস্ত্রোপচারের পর জটিলতায় ভোগা রোগী: বড় ধরনের অস্ত্রোপচারের পর।
  • কোমাগ্রস্ত রোগী: চেতনা হারানো রোগী।

 

ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে কী ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হয়?

ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে রোগীদের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে:

  • শ্বাস সহায়তা: যন্ত্রের সাহায্যে শ্বাস দেওয়া।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: ওষুধের মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা।
  • হৃদ্স্পন্দন নিয়ন্ত্রণ: পেসমেকার ব্যবহার করে হৃদ্স্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করা।
  • রক্ত পরিশোধন: কিডনি ফেইলিউরের ক্ষেত্রে রক্ত পরিশোধন করা।
  • সংক্রমণ প্রতিরোধ: অ্যান্টিবায়োটিক ও অন্যান্য ওষুধের মাধ্যমে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা।
  • পুষ্টি সরবরাহ: নাসাগাস্ট্রিক টিউব বা ভেনাস সেন্ট্রাল লাইনের মাধ্যমে পুষ্টি সরবরাহ করা।

 

ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে কাজ করা চিকিৎসক নার্সদের ভূমিকা

ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে কাজ করা চিকিৎসক ও নার্সরা অত্যন্ত দক্ষ ও প্রশিক্ষিত হয়ে থাকেন। তারা দিনরাত কাজ করে রোগীদের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করেন। তাদের ভূমিকা হল:

  • রোগীর অবস্থার ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ: রোগীর শারীরিক চিহ্ন, হৃদ্স্পন্দন, রক্তচাপ ইত্যাদি ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করা।
  • জীবন রক্ষাকারী যন্ত্রপাতি পরিচালনা: ভেন্টিলেটর, মনিটর ইত্যাদি যন্ত্রপাতি পরিচালনা করা।
  • ওষুধ প্রয়োগ: চিকিৎসকের নির্দেশ অনুযায়ী রোগীকে ওষুধ প্রয়োগ করা।
  • রোগীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখা: রোগীর পরিবারকে রোগীর অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করা।

 

ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি হওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন হয়?

ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি হওয়া একজন রোগী এবং তার পরিবারের জন্য একটি কঠিন সময়। রোগীকে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতিতে সংযুক্ত থাকতে হয় এবং নার্স ও চিকিৎসকরা তাকে ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করেন। পরিবারের সদস্যরাও এই সময়টিতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারেন।

 

ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি হওয়ার আগে

  • আপনার সাথে আপনার ওষুধের তালিকা রাখুন।
  • আপনার রক্তের গ্রুপ জানা থাকলে তা জানান।
  • আপনার সাথে আপনার পরিচয়পত্র রাখুন।

 

ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি হওয়া কেন গুরুত্বপূর্ণ?

  • দ্রুত চিকিৎসা পাওয়া যায়।
  • জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়।
  • জটিলতা এড়ানো যায়।

সর্বশেষ কথা

ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট হল জীবন বাঁচানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। তাই, যদি আপনি বা আপনার পরিবারের কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে দেরি না করে ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করান।

আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন এবং নিরাপদ থাকুন।

মানসিক স্বাস্থ্য গবেষণার সর্বশেষ অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

মানসিক স্বাস্থ্যের গবেষণা দিন দিন গতি পাচ্ছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি এবং পদ্ধতির আবিষ্কারের ফলে মানসিক রোগের কারণ, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান দিন দিন বাড়ছে।

সর্বশেষ অগ্রগতি

  • মস্তিষ্কের ইমেজিং: এমআরআই, পেট সিটি স্ক্যান ইত্যাদি প্রযুক্তির মাধ্যমে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে। এতে বিভিন্ন মানসিক রোগের স্নায়বিক ভিত্তি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বোঝা যাচ্ছে।
  • জিনোমিক্স: জিনের গঠন ও কার্যকলাপের গবেষণা মানসিক রোগের জৈবিক কারণ খুঁজে বের করতে সাহায্য করছে।
  • মাইক্রোবায়োম: অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া এবং মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যে সম্পর্কের গবেষণা একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
  • নিউরোপ্লাস্টিসিটি: মস্তিষ্কের পরিবর্তনশীলতা সম্পর্কে গবেষণা মানসিক রোগের চিকিৎসায় নতুন উপায় খুঁজে বের করতে সাহায্য করছে।
  • ডিজিটাল স্বাস্থ্য: মোবাইল অ্যাপ এবং অন্যান্য ডিজিটাল টুলস ব্যবহার করে মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান ও গবেষণা করা সম্ভব হচ্ছে।

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

  • নির্দিষ্ট চিকিৎসা: ভবিষ্যতে জিনগত তথ্যের ভিত্তিতে রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে মানসিক রোগের নির্ণয় এবং চিকিৎসা আরও সহজ ও কার্যকর হবে।
  • নতুন ওষুধ: জিনোমিক্স এবং নিউরোসায়েন্সের অগ্রগতির ফলে নতুন ধরনের ওষুধ আবিষ্কার হবে যা মানসিক রোগের চিকিৎসায় আরও কার্যকর হবে।
  • ডিজিটাল থেরাপি: ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি ব্যবহার করে মানসিক রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।
  • পুনর্বাসন: মানসিক রোগীদের পুনর্বাসনের জন্য নতুন পদ্ধতি এবং প্রোগ্রাম তৈরি করা হবে।

চ্যালেঞ্জ

  • সামাজিক স্টিগমা: মানসিক রোগকে ঘিরে এখনও সামাজিক স্টিগমা বিরাজমান। এটি মানসিক রোগীদের চিকিৎসা গ্রহণে বাধা দেয়।
  • অর্থায়ন: মানসিক স্বাস্থ্য গবেষণার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়।
  • ডেটা গোপনীয়তা: মানসিক স্বাস্থ্যের তথ্য গোপন রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

উপসংহার

মানসিক স্বাস্থ্য গবেষণার ক্ষেত্রে আমরা অনেক দূর এসেছি। ভবিষ্যতে আরও অনেক অগ্রগতি হবে। এই গবেষণার ফলে মানসিক রোগীরা আরও ভালো জীবনযাপন করতে পারবে এবং সমাজের সকল স্তরে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।

মনে রাখবেন: এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে। কোনো মানসিক সমস্যার ক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

 

ক্যান্সার সম্পর্কে ভুল ধারণা: এভারকেয়ারের বিশেষজ্ঞরা সত্যি বলছেন

ক্যান্সার, একটি ভয়াবহ রোগ। এই রোগ সম্পর্কে মানুষের মনে নানা ধরনের ভুল ধারণা রয়েছে। এই ভুল ধারণাগুলি কখনো কখনো রোগীদের চিকিৎসা থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। আজকে আমরা এভারকেয়ার ক্যান্সার সেন্টারের বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে ক্যান্সার সম্পর্কে কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা সঠিক করার চেষ্টা করব।

ভুল ধারণা ১: ক্যান্সার ছোঁয়াচে

সত্যি: ক্যান্সার ছোঁয়াচে রোগ নয়। কোনো রোগীর সঙ্গে শারীরিক সংস্পর্শে এলে ক্যান্সার হয় না।

ভুল ধারণা ২: ক্যান্সার শুধু বয়স্কদের হয়

সত্যি: ক্যান্সার যে কোনো বয়সে হতে পারে। শিশুদের মধ্যেও বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার দেখা যায়।

ভুল ধারণা ৩: ক্যান্সার শুধু বংশগত

সত্যি: সব ক্যান্সারই বংশগত হয় না। জীবনযাত্রা, পরিবেশগত কারণ, এবং কিছু ভাইরাসও ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।

ভুল ধারণা ৪: ক্যান্সার হলেই মৃত্যু নিশ্চিত

সত্যি: প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়লে এটি সম্পূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের কল্যাণে ক্যান্সার রোগীদের বেঁচে থাকার হার অনেক বেড়েছে।

ভুল ধারণা ৫: ক্যান্সারের কোনো নির্দিষ্ট লক্ষণ নেই

সত্যি: ক্যান্সারের অনেক ধরনের লক্ষণ থাকতে পারে। যেমন: অস্বাভাবিক রক্তস্রাব, ওজন কমে যাওয়া, দীর্ঘদিন ধরে জ্বর, কোনো অঙ্গে গিট বা ফোঁড়া, খাওয়ায় অরুচি ইত্যাদি।

ভুল ধারণা ৬: ক্যান্সারের চিকিৎসা খুব ব্যয়বহুল

সত্যি: ক্যান্সারের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হতে পারে, তবে অনেক সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থা ক্যান্সার রোগীদের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।

ভুল ধারণা ৭: ক্যান্সারের কোনো প্রতিরোধ নেই

সত্যি: সুস্থ জীবনযাপন করে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমান সম্ভব। ধূমপান না করা, সুষম খাদ্য গ্রহণ করা, শারীরিক পরিশ্রম করা, স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা ইত্যাদি ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ভুল ধারণা ৮: ক্যান্সারের চিকিৎসায় আয়ুর্বেদ বা হোমিওপ্যাথিই সবচেয়ে ভালো

সত্যি: আয়ুর্বেদ বা হোমিওপ্যাথি ক্যান্সারের চিকিৎসায় সহায়ক হতে পারে, তবে এগুলো একমাত্র চিকিৎসা নয়। ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ভুল ধারণা ৯: ক্যান্সার হলেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে হয়

সত্যি: ক্যান্সার নির্ণয়ের পর মানসিকভাবে খারাপ অনুভূতি হওয়া স্বাভাবিক। তবে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে এই সমস্যা কাটিয়ে উঠা সম্ভব।

ভুল ধারণা ১০: ক্যান্সার হলে আর কাজ করতে পারবো না

সত্যি: ক্যান্সারের চিকিৎসা শেষ হওয়ার পর অনেকেই আবার পূর্বের মতো কাজ করতে পারেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কাজে ফিরে যাওয়া সম্ভব।

এভারকেয়ার আপনার পাশে

এভারকেয়ার ক্যান্সার সেন্টারে আমরা বিশ্বাস করি, সঠিক তথ্যই হল সর্বোত্তম চিকিৎসা। আমাদের বিশেষজ্ঞরা আপনাকে ক্যান্সার সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন।

ট্রমা রোগীর প্রাথমিক মূল্যায়ন ও ব্যবস্থাপনা: একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ

ট্রমা বা আঘাতজনিত আহত রোগীদের দ্রুত ও সঠিক চিকিৎসা জরুরি। প্রাথমিক মূল্যায়ন ও ব্যবস্থাপনা এই ধরনের রোগীদের জীবন বাঁচাতে পারে। এই প্রক্রিয়াটিতে রোগীর শ্বাসনালী, শ্বাসকষ্ট এবং রক্তচাপের মতো জীবন রক্ষাকারী কার্যকলাপগুলি মূল্যায়ন করা এবং স্থিতিশীল করা অন্তর্ভুক্ত।

এয়ারওয়ে, ব্রিদিং, সার্কুলেশন (ABC) মূল্যায়ন

এবিসি মূল্যায়ন হল ট্রমা রোগীদের প্রাথমিক মূল্যায়নের মূল ভিত্তি। এটিতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত:

  • এয়ারওয়ে (শ্বাসনালী): রোগীর শ্বাসনালী খোলা আছে কিনা তা নিশ্চিত করা। যদি কোনো বাধা থাকে, তবে তা দ্রুত সরিয়ে নেওয়া।
  • ব্রিদিং (শ্বাস): রোগী শ্বাস নিচ্ছে কিনা এবং শ্বাসের গতি কেমন তা পরীক্ষা করা। যদি শ্বাসকষ্ট হয়, তবে অক্সিজেন সরবরাহ করা এবং যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া।
  • সার্কুলেশন (রক্তচাপ): রোগীর রক্তচাপ স্বাভাবিক কিনা তা পরীক্ষা করা। যদি রক্তচাপ কম থাকে, তবে তা বাড়ানোর জন্য তরল প্রদান করা বা রক্ত সঞ্চালন করা।

ট্রায়াজ

ট্রায়াজ হল রোগীদের তাদের আঘাতের তীব্রতার ভিত্তিতে শ্রেণীবদ্ধ করার একটি পদ্ধতি। এটি জরুরি পরিস্থিতিতে সীমিত সময় ও সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে। ট্রায়াজের উদ্দেশ্য হল সবচেয়ে গুরুতর রোগীদের প্রথমে চিকিৎসা দেওয়া।

স্থিতিশীলকরণ

স্থিতিশীলকরণ হল রোগীর জীবন রক্ষাকারী কার্যকলাপগুলিকে স্থিতিশীল করার প্রক্রিয়া। এটিতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত:

  • অক্সিজেন সরবরাহ: যদি রোগীর শ্বাসকষ্ট হয়, তবে অক্সিজেন সরবরাহ করা।
  • ইন্ট্রাভেনাস (IV) লাইন স্থাপন: তরল এবং ওষুধ প্রদানের জন্য IV লাইন স্থাপন করা।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: যদি রক্তচাপ কম থাকে, তবে তা বাড়ানোর জন্য তরল প্রদান করা বা রক্ত সঞ্চালন করা।
  • ব্যথা নিরোধক: ব্যথানাশক ওষুধ দেওয়া।
  • অন্যান্য চিকিৎসা: রোগীর আঘাতের ধরনের উপর নির্ভর করে অন্যান্য চিকিৎসা দেওয়া।

ট্রমা রোগীর ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব:

  • জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে: দ্রুত ও সঠিক ব্যবস্থাপনা রোগীর জীবন বাঁচাতে পারে।
  • অঙ্গব্যবস্থার ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে: দ্রুত চিকিৎসা অঙ্গব্যবস্থার ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে।
  • দীর্ঘমেয়াদী জটিলতা কমাতে সাহায্য করে: সঠিক ব্যবস্থাপনা দীর্ঘমেয়াদী জটিলতা কমাতে সাহায্য করে।

উপসংহার:

ট্রমা রোগীর প্রাথমিক মূল্যায়ন ও ব্যবস্থাপনা একটি জটিল প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াটি রোগীর জীবন বাঁচাতে এবং দীর্ঘমেয়াদী জটিলতা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কিডনি রোগের লক্ষণগুলি: সচেতন থাকুন

কিডনি আমাদের শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি রক্তকে পরিশোধন করে, অতিরিক্ত পানি ও বর্জ্য পদার্থকে শরীর থেকে বের করে দেয় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কিন্তু, বিভিন্ন কারণে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং ফলে কিডনি রোগ দেখা দিতে পারে।

কিডনি রোগের লক্ষণগুলি

প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি রোগের কোনো লক্ষণ নাও দেখা দিতে পারে। কিন্তু যখন রোগটি এগিয়ে যায়, তখন নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে:

  • প্রস্রাবের পরিবর্তন: প্রস্রাবের পরিমাণ বাড় বা কম হওয়া, প্রস্রাবে রক্ত দেখা দেওয়া, প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হওয়া (লাল, বাদামি ইত্যাদি) এবং প্রস্রাবের ফেনা বেড়ে যাওয়া।
  • শরীর ফুলে যাওয়া: চোখ, পা, হাত বা পেট ফুলে যাওয়া।
  • ক্লান্তি: সারা দিন ক্লান্তি অনুভব করা, শক্তিহীনতা।
  • খিদের অভাব: খাবারে আগ্রহ কমে যাওয়া, ওজন কমে যাওয়া।
  • মুখে ধাতব স্বাদ: মুখে অদ্ভুত স্বাদ অনুভব করা।
  • চুল পড়া: অতিরিক্ত চুল পড়া।
  • ত্বকের রং ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া: ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া এবং চুলকানি।
  • শ্বাসকষ্ট: ফুসফুসে তরল জমে যাওয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
  • মাথাব্যথা: উচ্চ রক্তচাপের কারণে মাথাব্যথা হতে পারে।
  • মনোযোগ কেন্দ্রীকরণে সমস্যা: একাগ্রতা কমে যাওয়া এবং মনে রাখার ক্ষমতা কমে যাওয়া।

কিডনি রোগের কারণগুলি

কিডনি রোগের অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • ডায়াবেটিস: উচ্চ রক্তশর্করা কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
  • উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ কিডনির রক্তনালীগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
  • কিডনির সংক্রমণ: ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের সংক্রমণ কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
  • কিডনির পলিসিস্টিক রোগ: জন্মগত কিডনির একটি রোগ।
  • কিডনির পাথর: কিডনিতে পাথর তৈরি হওয়া।
  • অটোইমিউন রোগ: শরীরের নিজস্ব কোষকে আক্রমণ করে এমন রোগ।
  • কিছু ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

কিডনি রোগের চিকিৎসা

কিডনি রোগের চিকিৎসা রোগের ধরন এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করে। কিছু ক্ষেত্রে ওষুধের মাধ্যমে রোগটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে ডায়ালাইসিস বা কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের প্রয়োজন হতে পারে।

কিডনি রোগ প্রতিরোধে কী করবেন?

  • রক্তচাপ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন: উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস কিডনি রোগের প্রধান কারণ।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান: ফল, সবজি, পুরো শস্য এবং কম চর্বিযুক্ত দুধ খান। নোনতা খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন: দিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করুন।
  • ধূমপান বন্ধ করুন: ধূমপান কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন: ব্যায়াম আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভাল এবং কিডনি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।
  • নিয়মিত চেকআপ করান: যদি আপনার ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকে, তাহলে নিয়মিত চেকআপ করান।

কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন?

উপরোক্ত লক্ষণগুলির মধ্যে কোনোটি যদি আপনার হয়, তাহলে দেরি না করে একজন নেফ্রোলজিস্টের পরামর্শ নিন।

মনে রাখবেন: কিডনি রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো লক্ষণ নাও দেখাতে পারে। তাই নিয়মিত চেকআপ করানো এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা খুবই জরুরি।

বয়স্কদের মানসিক স্বাস্থ্য: একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

বয়স বাড়ার সাথে সাথে শারীরিক পরিবর্তনের পাশাপাশি মানসিক পরিবর্তনও ঘটে থাকে। অনেকেই মনে করেন বার্ধক্য মানে হলো শুধু শারীরিক অসুস্থতা, কিন্তু বাস্তবতা হলো বার্ধক্যে মানসিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এই সমস্যাগুলি যদি সঠিক সময়ে চিহ্নিত না করা হয় এবং চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে তা ব্যক্তির জীবনযাত্রাকে গুরুতরভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

বয়স্কদের মধ্যে সাধারণ মানসিক সমস্যা

বয়স্কদের মধ্যে কয়েকটি সাধারণ মানসিক সমস্যা হল:

  • ডিপ্রেশন: মন খারাপ, আনন্দহীনতা, ক্লান্তি, ঘুমের সমস্যা, খাবারের রুচি হারানো, আত্মহত্যার চিন্তা ইত্যাদি ডিপ্রেশনের সাধারণ লক্ষণ।
  • উদ্বেগ: অতিরিক্ত চিন্তা, ভয়, শ্বাসকষ্ট, বুক ধড়ফড়, ঘামা, ঘুমের সমস্যা ইত্যাদি উদ্বেগের লক্ষণ।
  • স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া: বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া স্বাভাবিক। তবে, যদি স্মৃতিশক্তি খুব দ্রুত কমে যায় এবং দৈনন্দিন কাজকর্মে বাধা দেয়, তাহলে এটি কোনো গুরুতর রোগের লক্ষণ হতে পারে।
  • মূল্যবোধের পরিবর্তন: বয়স্কদের মধ্যে মূল্যবোধের পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। তারা আগের মতো সক্রিয় নাও থাকতে পারে এবং একাকীত্ব অনুভব করতে পারে।
  • সিজোফ্রেনিয়া: যদিও সিজোফ্রেনিয়া সাধারণত যুবকদের মধ্যে দেখা যায়, তবে বয়স্কদের মধ্যেও এটি হতে পারে।

কারণ

বয়স্কদের মধ্যে মানসিক সমস্যার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে, যেমন:

  • শারীরিক অসুস্থতা: দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যেমন ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ইত্যাদি, মানসিক সমস্যার কারণ হতে পারে।
  • ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • একাকীত্ব: বয়স্করা যখন পরিবার বা বন্ধুদের থেকে দূরে থাকে, তখন তারা একাকীত্ব অনুভব করতে পারে এবং এটি মানসিক সমস্যার কারণ হতে পারে।
  • জীবনের পরিবর্তন: অবসর গ্রহণ, স্বামী/স্ত্রীর মৃত্যু, বাড়ি পরিবর্তন ইত্যাদি জীবনের বড় পরিবর্তন মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

সমাধান

বয়স্কদের মানসিক সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে, যেমন:

  • চিকিৎসা: মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ও চিকিৎসা গ্রহণ করা।
  • ওষুধ: কিছু ক্ষেত্রে, মানসিক রোগের চিকিৎসায় ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে।
  • থেরাপি: কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি (CBT) এবং অন্যান্য ধরনের থেরাপি বয়স্কদের মানসিক সমস্যা মোকাবিলায় সাহায্য করতে পারে।
  • সামাজিক সমর্থন: পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সামাজিক গোষ্ঠীর সমর্থন বয়স্কদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।
  • স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: সুষম খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম, এবং পর্যাপ্ত ঘুম বয়স্কদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।

বয়স্কদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং তাদের সমর্থন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার কোনো বয়স্ক আত্মীয়-স্বজন মানসিক সমস্যায় ভুগছেন বলে মনে করেন, তাহলে তাকে একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা করার পরামর্শ দিন।

 

চিকিৎসা ও গবেষণা: একটি অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক

চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং গবেষণা, এই দুটি শব্দ একে অপরের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। মানবদেহের রহস্য উন্মোচন, নতুন রোগের চিকিৎসা আবিষ্কার, এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এ সবই সম্ভব হয়েছে চিকিৎসা গবেষণার কারণে।

চিকিৎসা গবেষণা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

  • নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার: গবেষণার মাধ্যমে নতুন ওষুধ, চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয় যা অনেক রোগের চিকিৎসায় সহায়তা করে।
  • রোগের কারণ নির্ণয়: গবেষণা করে রোগের কারণ নির্ণয় করা হয়, যার ফলে রোগ প্রতিরোধের উপায় খুঁজে পাওয়া যায়।
  • রোগীর জীবনমান উন্নয়ন: নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে রোগীদের জীবনমান উন্নত করা হয়।
  • স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নয়ন: গবেষণার ফলাফল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে আরও দক্ষ ও কার্যকর করে তোলে।

চিকিৎসা গবেষণার ধরন

চিকিৎসা গবেষণা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন:

  • মৌলিক গবেষণা: কোনো রোগ বা জৈবিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান অর্জনের জন্য করা গবেষণা।
  • ক্লিনিকাল গবেষণা: নতুন ওষুধ বা চিকিৎসা পদ্ধতি মানুষের উপর পরীক্ষা করে দেখার জন্য করা গবেষণা।
  • পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণা: কোনো রোগ বা স্বাস্থ্য সমস্যার সাথে বিভিন্ন কারণের সম্পর্ক পর্যবেক্ষণ করা।
  • সিস্টেম্যাটিক রিভিউ: বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল একত্রিত করে বিশ্লেষণ করা।

চিকিৎসা গবেষণার চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা

চিকিৎসা গবেষণার ক্ষেত্রে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেমন:

  • অর্থের অভাব: গবেষণার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়।
  • নৈতিক দিক: মানবদেহে গবেষণা করার সময় নৈতিক বিষয়গুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • সময়সাপেক্ষ: একটি গবেষণা সম্পূর্ণ হতে অনেক সময় লাগতে পারে।

তবে, চিকিৎসা গবেষণার সম্ভাবনাও অসীম। প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে চিকিৎসা গবেষণা আরো দ্রুত এবং কার্যকর হচ্ছে। ভবিষ্যতে আমরা আরো অনেক নতুন রোগের চিকিৎসা আবিষ্কার করতে পারব এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারব।

চিকিৎসা গবেষণার মধ্যে সম্পর্ক

চিকিৎসা এবং গবেষণা একে অপরের পরিপূরক। চিকিৎসকরা রোগীদের চিকিৎসা করেন এবং গবেষকরা নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। চিকিৎসকরা তাদের রোগীদের থেকে পাওয়া তথ্য গবেষকদের সাথে শেয়ার করেন এবং গবেষকরা তাদের আবিষ্কৃত নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি চিকিৎসকদের কাছে পৌঁছে দেন। এইভাবে চিকিৎসা বিজ্ঞান ধীরে ধীরে এগিয়ে যায়।

উপসংহার:

চিকিৎসা গবেষণা মানবজাতির জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এটি আমাদেরকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং একটি সুস্থ জীবন যাপন করতে সাহায্য করে। চিকিৎসা গবেষণাকে আরও উৎসাহিত করার জন্য সরকার, বেসরকারি সংস্থা এবং সাধারণ মানুষ সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

ক্যান্সার সর্বাধিক প্রভাবিত করে কাদের? এভারকেয়ারের গবেষণা

ক্যান্সার, একটি রোগ যা আজকের সমাজে একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় প্রতিটি পরিবারেই ক্যান্সার রোগী থাকার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু কারা সবচেয়ে বেশি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়? এভারকেয়ারের গবেষণা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে।

ক্যান্সার সর্বাধিক প্রভাবিত করে কাদের?

ক্যান্সারের ঝুঁকি বিভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হয়। যেমন:

  • বয়স: সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিরা ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হন।
  • লিঙ্গ: কিছু ধরনের ক্যান্সার মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, যেমন স্তন ক্যান্সার। আবার অন্য কিছু ধরনের ক্যান্সার পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, যেমন ফুসফুস ক্যান্সার।
  • পরিবারের ইতিহাস: যদি পরিবারে কারো ক্যান্সার হয়, তাহলে অন্য সদস্যদেরও ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
  • জীবনযাত্রা: ধূমপান, মদ্যপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক অক্রিয়তা, সূর্যের অতিরিক্ত তাপ এবং কিছু রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসা—এসব কারণ ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • পরিবেশ: বায়ু দূষণ, পানির দূষণ এবং কিছু ধরনের ভাইরাসও ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।

এভারকেয়ারের গবেষণা কী বলছে?

এভারকেয়ারের গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়:

  • ফুসফুস ক্যান্সার: ধূমপান এই ক্যান্সারের প্রধান কারণ।
  • স্তন ক্যান্সার: মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ক্যান্সার।
  • মুখ গলার ক্যান্সার: ধূমপান এবং পানের সঙ্গে তামাক খাওয়া এই ক্যান্সারের প্রধান কারণ।
  • যকৃতের ক্যান্সার: হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাস এই ক্যান্সারের প্রধান কারণ।
  • রক্ত ক্যান্সার: এই ক্যান্সারের সঠিক কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।

ক্যান্সার প্রতিরোধে কী করা যায়?

ক্যান্সার প্রতিরোধে সুস্থ জীবনযাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি নিম্নলিখিত কাজগুলো করে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারেন:

  • ধূমপান এবং মদ্যপান পরিহার করুন: ধূমপান এবং মদ্যপান ফুসফুস, মুখ, গলা এবং অন্যান্য অনেক ধরনের ক্যান্সারের প্রধান কারণ।
  • সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন: ফল, শাকসবজি, পুরোধান এবং পরিমিত পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। প্রক্রিয়াজাত খাবার, চর্বিযুক্ত খাবার এবং অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার পরিহার করা উচিত।
  • শারীরিক পরিশ্রম করুন: সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট মধ্যম তীব্রতার শারীরিক পরিশ্রম করা উচিত।
  • স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন: অতিরিক্ত ওজন বা মোটা হওয়া অনেক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
  • সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে নিজেকে রক্ষা করুন: সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সরাসরি সূর্যের আলোতে না থাকা, সানস্ক্রিন ব্যবহার করা এবং সুরক্ষিত পোশাক পরা উচিত।
  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্ত করা সম্ভব।

এভারকেয়ার আপনার পাশে

এভারকেয়ার ক্যান্সার সেন্টারে আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিরোধই হল সর্বোত্তম চিকিৎসা। আমাদের বিশেষজ্ঞরা আপনাকে সুস্থ জীবনযাপনের পরামর্শ দিয়ে ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করবেন।

ক্যান্সার মুক্ত জীবন গড়তে আজই শুরু করুন!