এভারকেয়ারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এখন কক্সবাজারে

এভারকেয়ার হসপিটাল, চট্টগ্রামের ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও বিভাগীয় কোঅর্ডিনেটর প্রফেসর ডা. শেখ মোহাম্মদ হাছান মামুন যাচ্ছেন কক্সবাজারে। তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার, কক্সবাজার ইউনিয়ন হাসপাতালে রোগীদের সেবা–পরামর্শ প্রদান করবেন। প্রফেসর ডা. শেখ মোহাম্মদ হাছান মামুন দেশ বিদেশের বিভিন্ন বিখ্যাত হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেছেন। কমপ্লেক্স, মাল্টি–ভেসেল, লেফট মেইন অ্যান্ড বাইফারকেশন পিসিআই, পারমানেন্ট পেসমেকার, এআইসিডি ও সিআরটিডি–তে বিশেষ দক্ষতাসহ ইন্টারভেনশনাল ও নন–ইনভেসিভ কার্ডিওলজিতে তাঁর ১৮ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা কক্সবাজার ইউনিয়ন হাসপাতালে ডা. মামুন উপস্থিত থাকবেন। অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য কল করুন ০১৯৫২২১৬২২২ অথবা ০১৩২২৮৩৯৮৫১ নাম্বারে

করোনারি এনজিওগ্রাম প্যাকেজ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বিশেষ ছাড় আজ থেকে

এভারকেয়ার হসপিটাল, চট্টগ্রাম বিশেষ ছাড়ে এনজিওগ্রাম প্যাকেজ (সিএজি) এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। করোনারি এনজিওগ্রাম (সিএজি) ও ফেস্টিভ হেলথ চেক প্যাকেজে চট্টগ্রামের বাসিন্দারা আজ থেকে ৯ জুন পর্যন্ত হাসপাতালে প্যাকেজ-অন্তর্ভুক্ত সেবাগুলো গ্রহণ করতে পারবেন।

করোনারি এনজিওগ্রাম (সিএজি) প্যাকেজে রোগীর ভর্তি, রুম ভাড়া, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ, ক্যাথ ল্যাব ফি, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা, ওষুধ, নার্সিং ফি, খাবার, পুষ্টিবিদের পরামর্শ ও এমআরডি ফি অন্তর্ভুক্ত। সাশ্রয়ী মূল্যে এই প্যাকেজের সেবাগুলো গ্রহণ করা যাবে।

ফেস্টিভ হেলথ চেক প্যাকেজের আওতায় সিলভার প্যাকেজ ও গোল্ড প্যাকেজের সুবিধা গ্রহণ করা যাবে। এ দুটো প্যাকেজের যে কোনো একটি গ্রহণ করলে রোগীর অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা সেবায় ১০% ছাড় দেওয়া হবে।

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো সার্ভাইক্যাল ডিসটোনিয়া রোগীর বোটক্স থেরাপি, এভারকেয়ারে অত্যাধুনিক ইএমজি মেশিনের ব্যবহার

cervical dystonia

এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে সমপ্রতি অত্যাধুনিক ইএমজি মেশিনের সহযোগিতায় জটিল সার্ভাইক্যাল ডিসটোনিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর বোটক্স থেরাপি সম্পন্ন হয়েছে। এভারকেয়ার হসপিটাল, চট্টগ্রামের নিউরোলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের তত্ত্বাবধায়নে চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো এই বোটক্স থেরাপি সম্পন্ন করা হয়। এভারকেয়ার হসপিটাল, চট্টগ্রামের নিউরোলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান, সার্ভাইক্যাল ডিসটোনিয়া (সিডি) একটি বিরল স্নায়ুবিক রোগ।

সার্ভাইক্যাল ডিসটোনিয়াতে আমরা মুখের ওষুধ, বোটক্স, ডিবিএস কিংবা ব্রেইন সার্জারি করে থাকি। আমাদের সার্ভাইক্যাল ডিসটোনিয়া রোগীর মুখের ওষুধ কার্যকরী না হওয়াতে আমরা অত্যাধুনিক ইএমজি মেশিনের সহযোগিতায় বোটক্স থেরাপি সম্পন্ন করি, যা কিনা চট্টগ্রামে এই প্রথম। এক সপ্তাহের মধ্যেই রোগীর পঞ্চাশ ভাগ উন্নতি হয়েছে।

এভারকেয়ার হসপিটাল, চট্টগ্রামের মেডিকেল সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক ডা. ফজলে আকবর বলেন, রোগীদের সর্বোত্তম সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আমরা এখানে সর্বোত্তম চিকিৎসা সরঞ্জাম ও দক্ষ চিকিৎসক দল নিয়ে সর্বদা প্রস্তুত থাকি। চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো জটিল সার্ভাইক্যাল ডিসটোনিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর সফলভাবে বোটক্স থেরাপি সম্পন্ন করেছি, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত বড় একটি সাফল্য।

PEG tube installed in an MND patient for the first time in Chattogram

Evercare Hospital Chattogram has installed PEG tube in a patient with complex motor neuron disease, or MND, for the first time in Chattogram under the supervision of Dr SM Ali Haider, senior consultant of Gastroenterology department of the hospital.

Harun-ur-Rashid, a 66-year-old resident of Chandgaon in the district, came to Evercare with physical weakness. Preliminary observations at the hospital’s OPD revealed that for the past six months, the patient has been unable to speak properly, swallow food and drink, and has been suffering from sudden shortness of breath.

Under the supervision of Dr Mohammad Nazim Uddin, consultant of Neurology at Evercare Hospital, all the necessary tests were done and the doctors confirmed that the patient had contracted motor neuron disease (MND). As there is no specific treatment or antidote for this disease, PEG tubes are inserted to ensure adequate nutrition for the patient. Then, with the consent of the patient and his relatives, a PEG tube was successfully implanted in the patient’s body without any complications under the supervision of Dr SM Ali Haider, said a press release.

Dr SM Ali Haider said, “The main symptoms of motor neuron disease are: difficulty in swallowing food and talking, salivation from the mouth, and shortness of breath. Harun-ur-Rashid has been suffering from these problems for the last 6 months, and when he was brought to us, his physical condition was critical. No cure for this disease has yet been discovered, nor is there any specific medicine. It is difficult to make any decision in this situation. However, we decided to place a PEG tube in his body as it is capable of providing adequate nutrition to the body and can be used without the assistance of a medical expert. It is more tolerant, simpler, and more usable than nasogastric and orogastric tubes. Then, with the consent of all, we completed this treatment. At present, the patient is healthy.”

Dr Mohammad Fazle-Akbar Chowdhury, general manager of Evercare Hospital Chattogram, said, “We are always ready with the best medical equipment and skilled medical team to provide the best services to the patients. For the first time in Chattogram, we have successfully installed a PEG tube in the body of a patient suffering from a complex MND disease, which is a great achievement for us.”

ভাঙ্গা মেরুদণ্ডের সফল আধুনিক সার্জারি এভারকেয়ার হাসপাতালে

fracture surgery

চট্টগ্রামের রাউজানের বাসিন্দা সায়েদ হোসাইন। সপ্তাহ তিনেক আগে ১০ ফুট উচ্চতা থেকে পড়ে গিয়ে মেরুদণ্ডে প্রচণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত হন ৫৬ বছর বয়সী এ বৃদ্ধ। আঘাতের তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতালে। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সায়েদ হোসাইনের মেরুদণ্ডের একটি অংশ ফেটে যাওয়ার দৃশ্য (এল-২ ভার্টিরা ফ্যাকচার হয়) ধরা পড়ে। যদিও এ চিকিৎসা অত্যান্ত জটিল, তবে সুখবর হচ্ছে- ভাঙ্গা মেরুদণ্ডের আধুনিক পদ্ধতিতে সার্জারি করে সাফল্য অর্জন করেছে এভারকেয়ার হাসপাতালের একদল চিকিৎসক। যার ফলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সায়েদ হোসাইনও। গতকাল মঙ্গলবার ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেন সায়েদ হোসাইন।

এভারকেয়ার কর্তৃপক্ষ জানায়, স্পাইন সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মুহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের নেতৃত্বে গত ১৯ ডিসেম্বর এ সার্জারি সম্পন্ন করা হয়। এমআইএস (মিনিম্যালি ইনভেসিভ সার্জারি) পদ্ধতিতে ভাঙ্গা মেরুদণ্ড জোড়া লাগানোর চিকিৎসা প্রথমবারের মতো এ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়।

সার্জারিতে নেতৃত্বপ্রদানকারী ডা. মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, “প্রযুক্তির কল্যাণে চিকিৎসা বিজ্ঞান এখন অনেক উন্নত। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার হচ্ছে। স্পাইন ইনজুরির অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি এমআইএস প্রয়োগ করে আমরা সফল হয়েছি। এই সাফল্য এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রামের চিকিৎসা সাফল্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এ চিকিৎসায় সার্জারি পরবর্তী জটিলতা নেই বললেই চলে।’

চিকিৎসকরা জানান, মেরুদণ্ডে ফ্র্যাকচার হওয়া থেকে পরবর্তীতে যেকোন সময় এসব রোগীর দুই পায়ে দুর্বলতা কিংবা অবশতা সৃষ্টি এবং মল-মূত্র ত্যাগে সমস্যা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি সময় ক্ষেপণ করলে রক্তক্ষরণসহ দীর্ঘমেয়াদি জটিলতাও দেখা দিতে পারে। তবে আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে শরীরে মাত্র ২ সেন্টিমিটারের ছোট ছিদ্র করে সার্জারি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। ফলে সার্জারির পর মাত্র ১ অথবা ২ দিনের মধ্যেই রোগী বাড়ি ফিরে যেতে পারে এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।

 

ইআরসিপি পদ্ধতিতে পিত্তনালীর পাথর অপসারণ

প্রথমবারের মতো ইআরসিপি পদ্ধতিতে পিত্তনালীর পাথর অপসারণ করলো এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম। সম্প্রতি হাসপাতালের হেপাটোলজি বিভাগের এসোসিয়েট কনসালটেন্ট ডা. মুশফিকুল আবরার ও তার টিম সফলভাবে এই জটিল অপারেশন সম্পন্ন করেন। ৫৯ বছর বয়সী এক নারী জন্ডিস, জ্বর ও পেটে ব্যথাজনিত সমস্যা নিয়ে এভারকেয়ার হসপিটালে ভর্তি হন। যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা তার পিত্তনালীতে পাথর ও পুঁজের উপস্থিতি নিশ্চিত করেন। উল্লেখ্য, ভর্তির একমাস আগে রোগী হৃদরোগ জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন এবং অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ও নতুন রোগে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি তৎক্ষণাৎ এভারকেয়ারে আসেন। অতঃপর তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় রেখে সিনিয়র কার্ডিওলজিস্টসহ মেডিকেল বোর্ড এবং রোগীর স্বজনদের সম্মতিক্রমে ডা. মুশফিকুল আবরারের তত্ত্বাবধায়নে উচ্চ-ঝুঁকি নিয়ে ইআরসিপি পদ্ধতিতে অপারেশনের সিদ্ধান্ত্ত নেওয়া হয়। চিকিৎসা অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ডা. মুশফিকুল আবরার বলেন, মেডিকেল পরিভাষায় জন্ডিস, জ্বর ও পেটে ব্যথা এই তিন উপসর্গের সমন্বয়কে চারকোটস ট্রায়াড বলা হয়। এই অবস্থায় রোগীর পিত্তনালীতে কোন ইনফেকশন আছে বলে প্রাথমিকভাবে আশঙ্কা করা হয় এবং জরুরি ভিত্তিতে পিত্তনালীর পাথর বা পুঁজ অপসারণ করা হয়। ইআরসিপি খুবই আধুনিক কিন্তু জটিল একটি পদ্ধতি।

বিদেশগামীদের জন্য নগরীতে ট্রাভেলার কোভিড পরীক্ষা সার্ভিস চালু

বন্দরনগরীর সর্ববৃহৎ হাসপাতাল এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে সম্প্রতি বিদেশগামীদের জন্য আরটি পিসিআর কোভিড পরীক্ষা সার্ভিস চালু হয়েছে। এই সার্ভিস থেকে মাত্র ৬ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যাবে। সরকারের প্যান্ডেমিক প্রটোকল মেনে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষা করা হয়। তাই নেগেটিভ ফলাফল আসলে বিদেশগামীরা নির্দ্বিধায় বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সকল দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। ভ্রমণ অনুমোদন পাওয়ার জন্য কোভিড-১৯ সনাক্তকরণের নমুনা হসপিটালে সরবরাহ করতে হবে। সকাল ৯টার মধ্যে পাওয়া নমুনার ফলাফল ঐদিনই বিকাল ৩টার মধ্যে এবং বিকাল ৩টা পর্যন্ত পাওয়া সকল নমুনার ফলাফল ঐদিনই রাত ৯টার মধ্যে দিয়ে দেওয়া হবে। এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের মেডিকেল সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক ডা. ফজলে আকবর বলেন, চলমান মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী ভ্রমণে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা চলে এসেছে। সরকার শুধুমাত্র তাদেরি ভ্রমণে অনুমতি দিচ্ছে, যাদের পর্যাপ্ত অনুমোদন রয়েছে। এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে আমরা সঠিকভাবে যাচাই করে কোভিড-১৯ টেস্ট সার্টিফিকেট প্রদান করি যাতে বিদেশগামীরা বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সকল দেশে ভ্রমণ করতে পারেন। এমন একটি উদ্যোগে অংশ হতে পারা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের বিষয়।

Successful thrombolysis procedure saves stroke patient’s life at Evercare Hospital Chattogram

A successful thrombolysis procedure has recently saved the life of a patient who suffered a brain stroke at Evercare Hospital Chattogram. A female patient who suffered a brain stroke was brought in and doctors had very little time to perform the operation to save her life. The patient, Shamima Akhter (48), was brought into the emergency department of Evercare Hospital Chattogram (EHC) with speech difficulty and paralysis on the left side of her body. Suspecting a stroke, the experienced staff of the EHC emergency unit quickly assigned a few blood tests and a CT scan of the brain.

The results confirmed an acute stroke, due to a clotted blood vessel in her brain (Dense Right MCA), about 3.5 hours ago. The thrombolysis of the case was time-sensitive as it had to be done within 4.5 hours of the onset of symptoms, notes the media release.

Despite the challenges, thrombolysis was done successfully without any complications. During the post-treatment, the patient was carefully monitored in the Neuro ICU for 24 hours and shifted to the Stroke Ward the next day.

After rehabilitation (physiotherapy, occupational therapy, and speech therapy), she recovered and was able to walk without needing support. She was discharged from the hospital after the target INR was reached with the cardiology review.

Dr Mohammad Najim Uddin, MBBS, MCPS (Medicine), MD (Neurology), consultant at the hospital’s Department of Neurology, who lead the procedure, expressed a sense of release over the procedure’s success.

He said, “Thrombolysis is highly time-sensitive as the procedure needs to be completed within 4.5 hours of the stroke. Thanks to the advanced medical facilities and the well-trained team of physicians of Evercare Hospital Chattogram, we were able to perform this critical procedure for the first time ever in Chattogram within due time.”

Anna Poley, director of Nursing, said, “At Evercare Chattogram, we strive to deliver stroke care in line with international standards and guidelines. It is our mission to ensure optimal care to reduce the burden of stroke complications for our patients and the community.”

Dr Fazle Akbar, general manager of Medical Services, said, “We are always ready to give critical support to our patients due to our top-of-the-line equipment and a well-trained team of physicians and caregivers. It is our aim to facilitate the people of Chattogram with the best services in the medical field.”

“With the success of critical procedures such as thrombolysis, we are quickly reaching this goal. We hope to continue bringing such indispensable services to the people of the port city,” he remarked.

এভারকেয়ার হসপিটালে বিশেষ পরিবহন সেবার নতুন রুট ঘোষণা

চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ হাসপাতাল এভারকেয়ার হসপিটালে সকল রোগী ও স্বজনদের সুবিধার্থে একটি বিশেষ পরিবহন সেবা চালু করেছে। সম্প্রতি কর্ণফুলী ইপিজেড সংলগ্ন ক্যাসাব্ল্যাঙ্কা রেস্টুরেন্টে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এই পরিবহন সেবার নতুন রুটগুলো ঘোষণা করা হয়।

তিন মাস আগে শুরু হওয়া এই পরিবহন সেবা নগরীর জিইসি চত্বর থেকে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ রুটে চললেও তা এখন সম্প্রসারিত করেছে এভারকেয়ার কর্তৃপক্ষ। সদ্যঘোষিত নতুন রুটে কর্ণফুলী ইপিজেড থেকে শুরু করে চট্টগ্রামের ইপিজেড-বন্দর হসপিটাল-হালিশহর-বড়পোল-আগ্রাবাদ হয়ে হাসপাতাল পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারবেন হাসপাতালগামী রোগী ও তাদের স্বজনরা। প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর অন্তর সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই পরিবহন সেবা পাওয়া যাবে।

কর্ণফুলী ইপিজেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এনামুল করিম বলেন, এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের এই উদ্যোগটি সত্যিই প্রশংসনীয় এবং এর ফলে রোগীরা আরও সহজে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এই সেবার মাধ্যমে সিইপিজেড জোনে কর্মরত ব্যক্তি ও তাদের পরিবার হাসপাতালে যাতায়াতের ভোগান্তি অনেকটাই লাঘব হবে বলে আমার বিশ্বাস। এমন একটি উদ্যোগ গ্রহণের জন্য এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামকে সাধুবাদ জানাই।

এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের মহাব্যবস্থাপক ডা. ফজলে আকবর বলেন, রোগীদের কল্যাণে সর্বদাই আমরা সেরাটি দিতে প্রস্তুত থাকি। আমরা প্রায়ই লক্ষ্য করি, রোগী এবং রোগীর আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুরা হাসপাতালের আসা-যাওয়ার সময় পরিবহন জনিত সমস্যার মুখোমুখি হন। তাই তাদের সেই সমস্যা দূর করতে আমাদের এই উদ্যোগ এবং এই পরিবহন সেবার মাধ্যমে তাঁরা কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন বলে আমি আশাবাদী। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিইপিজেডএর (বেপজা) উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীরা।

স্বল্প খরচে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট এখন চট্টগ্রাম এভারকেয়ারে

তুলনামূলক কম খরচেই এখন থেকে বোন ম্যারো (অস্থি মজ্জা) ট্রান্সপ্লান্ট করা যাবে এভারকেয়ার হাসপাতাল, চট্টগ্রামে। বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টসহ রক্তের বিভিন্ন রোগের (ব্লাড ক্যান্সার, থ্যালাসেমিয়া, অ্যাপ্ল্যাসটিক অ্যানিমিয়া প্রভৃতি) বিশেষায়িত চিকিৎসায় নতুন একটি সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে এ হাসপাতালে। ‘সেন্টার অব এক্সেলেন্স ফর হেমাটোলজি এন্ড বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট’ নামে নতুন এই সেন্টারটিতে এখন থেকেই সেবা পাবেন রোগীরা। সেন্টারটির উদ্বোধন উপলক্ষে অন্যন্যা আবাসিক এলাকাস্থ হাসপাতালটির অডিটরিয়ামে গতকাল দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালের মহাব্যবস্থাপক (মেডিকেল সার্ভিসেস) ডা. ফজলে আকবর, পরিচালক (মেডিকেল সার্ভিসেস) ডা. প্রকাশ ও পরিচালক (অপারেশন) গুরুভিন্দর সিং উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ সেন্টারে হেমাটোলজি ও স্টেম সেল সংক্রান্ত সব ধরনের রোগের চিকিৎসা মিলবে। এখানে মাসিক কনসালটেশন, দৈনিক টেলিমেডিসিন সেবা এবং কেমো ডে–কেয়ার সুবিধাও পাবেন রোগীরা। এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা’র হেমাটোলজি অ্যান্ড স্টেম সেল ট্রান্সপ্ল্যান্ট বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট অ্যান্ড কো–অর্ডিনেটর ডা. আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ্‌ এ সেন্টারে চিকিৎসা সেবা দেবেন। তিনি প্রতি মাসের শেষ সপ্তাহের মঙ্গলবার এভারকেয়ার হাসপাতাল, চট্টগ্রামের এ সেন্টারে রোগী দেখবেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, স্টেম সেল প্রতিস্থাপনে অভিজ্ঞ এ চিকিৎসক সৌদি আরবের কিং ফয়সাল স্পেশালিস্ট হসপিটাল এন্ড রিসার্চ সেন্টারের অ্যাডাল্ট হেমাটোলজি/হেমাটোপয়েটিক স্টেম সেল প্রতিস্থাপন (এইচএসসিটি) বিভাগে অ্যাসিসটেন্ট কনসালটেন্ট হিসেবে দীর্ঘ ৯ বছর কর্মরত ছিলেন। তিনি ৮ শতাধিক অ্যালোজেনেয়িক এবং অটোলোগাস স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্টসহ বিনাইন ও ম্যালিগন্যান্ট হেমাটোলজি ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘ অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।

লব্ধ অভিজ্ঞতায় চট্টগ্রামের বাসিন্দা বা রোগীদের সেবা প্রদানের সুযোগকে নিজের জন্য সম্মানের বলে মনে করছেন ডা. আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ্‌। সংবাদ সম্মেলনে এই চিকিৎসক বলেন, বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টসহ রক্তের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় বিশেষায়িত এ সেন্টার চালুর যে উদ্যোগ এভারকেয়ার হাসপাতাল নিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এর মাধ্যমে চট্টগ্রামের রোগীদের এখন থেকে আর দেশে–বিদেশে ছুটতে হবে না। তারা ঘরের দুয়ারেই বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টসহ রক্ত রোগের বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা পাবেন। তুলনামূলক কম খরচেই এ সেবা পাবেন রোগীরা।

হাসপাতালের মহাব্যবস্থাপক (মেডিকেল সার্ভিসেস) ডা. ফজলে আকবর বলেন, বিশেষ করে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের জন্য রোগীদের ঢাকাসহ বিদেশে ছুটতে হয়। যেখানে ট্রান্সপ্লান্ট বাবদ প্রায় ৫০–৬০ লাখ টাকা খরচ পড়ে। তবে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টসহ রক্ত সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামবাসীদের আর কষ্ট করে ঢাকা বা বিদেশে পাড়ি জমাতে হবে না। এভারকেয়ার হাসপাতাল, চট্টগ্রামেই এখন থেকে বিশেষায়িত এ চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাবে। আমরা খুব শীঘ্রই বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট শুরু করছি। চট্টগ্রামবাসীকে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা দিতে এভারকেয়ার হাসপাতাল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান ডা. ফজলে আকবর। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ক্ষেত্র বিশেষে ৬–১৫ লাখ টাকার মধ্যে এখানে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করা যাবে বলে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। চিকিৎসকদের ভাষ্য, ব্লাড ক্যান্সার বা লিউকিমিয়া, লিমফোমা, মায়েলোমা, অ্যাপ্ল্যাসটিক অ্যানিমিয়া, থ্যালাসেমিয়া ইত্যাদি রোগের কথায় সাধারণ মানুষ মাত্রই ভয় পান। অনেকেই বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দেন। তবে বহু ক্ষেত্রে এ ধরণের রোগে আক্রান্তরা সুস্থ–স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসতে পারেন। আর সেটি সম্ভব হয় বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট (বিএমটি) বা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে। এতোদিন ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে এই অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা থাকলেও চট্টগ্রামে প্রথম বারের মতো এ সেবা চালু করতে যাচ্ছে এভারকেয়ার হাসপাতাল, চট্টগ্রাম।